ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিদেশেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সুন্দরবনের কাঁকড়া

দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সুন্দরবনের কাঁকড়া। গত পাঁচ মাসে কাঁকড়া রপ্তানি করে ২৬ লাখ ৮১ হাজার মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ২২ কোটি টাকা এসেছে বাংলাদেশে। সুন্দরবন অঞ্চলের কাঁকড়ার কদর বেড়েছে তাইওয়ান, চীন, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যে।

রোগ-বালাই কম হওয়ায় এবং মূল্য বেশি পাওয়ায় সুন্দরবন সংলগ্ন ১৩ উপজেলায় বেড়েছে কাঁকড়ার চাষ। তিনমাস বয়স হলেই পুরুষ ও মহিলা জাতের কাঁকড়া রপ্তানি যোগ্য হয়। শীত কিংবা গরমে কাঁকড়ার কোন ক্ষতি হয় না। এছাড়া এক কেজি কাঁকড়ার দাম ১ হাজার টাকা থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এসব কারণেই সুন্দরবন এবং এর আশে পাশের অঞ্চলগুলোতে কাঁকড়ার চাষ ক্রমাগত বেড়ে চলেছে।

কম সময়ে বেশি মুনাফা হওয়ার কারণে সুন্দরবন ছাড়িয়ে খুলনা অঞ্চলের দাকোপ, বটিয়াঘাটা, ডুমুরিয়া, পাইকগাছা, কয়রা, রামপাল, মোংলা, বাগেরহাট সদর, শরণখোলা, শ্যামনগর, আশাশুনি কালীগঞ্জ ও দেবহাটা উপজেলায় কাঁকড়ার চাষ সম্প্রসারিত হয়েছে।

আরও পড়ুন: কমছে পোশাক রফতানি

খুলনা রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো মতে, গত পাঁচ মাসে ২৬ লাখ ৮১ হাজার ডলার মূল্যের কাঁকড়া বিদেশে রপ্তানি হয়েছে। যার মধ্যে জুন মাসে ২ লাখ ৬৯১ হাজার ডলার, জুলাই মাসে ৩ লাখ ৯৭ হাজার ডলার, আগস্ট মাসে ৫ লাখ ৬৩ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বর মাসে ৯ লাখ ২৫ হাজার ডলার ও অক্টোবর মাসে ৫ লাখ ৯৪ হাজার ডলার মূল্যের কাঁকড়া বিদেশে রপ্তানি হয়েছে।

স্থানীয় রপ্তানিকারক শেখ ওয়াহিদুজ্জামান লাবু বলেন, মোংলা বন্দর সংলগ্ন দিগরাজ মোকাম থেকে প্রতিদিন রপ্তানির উদ্দেশ্যে ১০ টন কাঁকড়া ঢাকার নলভোগ আড়তে যায়। প্রতিকেজি কাঁকড়া প্রকারভেদে ১ হাজার টাকা থেকে ১২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়। বর্তমানে চীন ও তাইওয়ানে সুন্দরবন অঞ্চলের কাঁকড়ার চাহিদা বেশি।

বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. খালেদ কনক বলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলা, রামপাল ও মোংলা উপজেলায় গত অর্থ বছরে ৬০০ হেক্টর জমিতে কাঁকড়া চাষ হয়েছে। খামার ও স্থানীয় নদ-নদী থেকে এ সময় ২ হাজার ৬২৯ টন কাঁকড়া উৎপাদন হয়েছে।

 

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন