বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওয়ালটন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অংশীদার হবে : অর্থমন্ত্রী

পূর্বে বিশ্বে যে তিনটি শিল্প বিল্পব হয়েছিল, সেখানে আমরা অংশগ্রহণ করতে পারিনি। তবে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আমরা মিস করতে চাই না। চলমান চতুর্থ শিল্প বিপ্লব হচ্ছে ডিজিটাল বিপ্লব। আর এই শিল্প বিপ্লবে অংশীদার হতে যাচ্ছে ওয়ালটন। বিশ্ব প্রযুক্তিপণ্যের বাজারের শীর্ষ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের তালিকায় প্রবেশ করবে ওয়ালটন।

গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) অডিটোরিয়ামে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত ওয়ালটনের র‌্যাম উৎপাদন কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব কথা বলেছেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এসএম রেজাউল আলম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম মঞ্জুরুল আলম অভি।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, ‘একটা সময়  এ দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ থাকবে,  ঘরে ঘরে ফ্রিজ, টিভি ব্যবহার করা হবে। এগুলো কিন্তু দূরদৃষ্টি দিয়ে চিন্তা করা লাগে। ওয়ালটন সে কাজটি সঠিকভাবে করতে পেরেছে। আমি বিশ্বাস করি ওয়ালটনের হাত ধরে বাংলাদেশ আরো অনেক দূরে এগিয়ে যাবে। কিন্তু নতুন নতুন প্রযুক্তিপণ্য উদ্ভাবন করতে হবে তাদের।’ ওয়ালটনের মতো অন্য কোম্পানিগুলোকে আইসিটি ক্ষেত্রে অবদান রাখতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আইসিটি খাতে উন্নয়নে সরকার অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছে। আপনারা আমাদের কাছে আসুন, সরকারের পক্ষ থেকে আমরা আপনাদের সব সহযোগিতা করব।

আরও পড়ুনঃ  ‘দেশের অর্থনীতি অনেক ভালো, আরও শক্তিশালী হবে’

জানা যায়, বাংলাদেশ প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনে একের পর এক সাফল্য দেখাচ্ছে । মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ-কম্পিউটার ও এর বিভিন্ন যন্ত্রাংশ তৈরির পর এবার দেশেই উৎপাদিত হচ্ছে র‌্যাম (রেনডম অ্যাকসেস মেমোরি)। কম্পিউটার ও ল্যাপটপের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ যন্ত্রাংশ তৈরির মাধ্যমে দেশীয় প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন শিল্পে নতুন এক মাইলফলক সৃষ্টি করল ওয়ালটন। র‌্যামের মতো উচ্চ প্রযুক্তির যন্ত্রাংশ তৈরির পর প্রসেসর উৎপাদনের বৃহৎ কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ওয়ালটন।

মোস্তাফা জব্বার জানান, বাংলাদেশ বর্তমানে উৎপাদক দেশে পরিণত হয়েছে। একসময় আমরা বিদেশী ব্র্যান্ডের ওপর নির্ভরশীল ছিলাম। এরই মাঝে ওয়ালটনের ল্যাপটপ রফতানিও হচ্ছে। ওয়ালটন নিজেকে একটি সম্মানজনক ব্র্যান্ড হিসেবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু সামনের দিনে দেশের শিল্প সুরক্ষায় করারোপের বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে হবে।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ওয়ালটন বর্তমানে মাসে উৎপাদন করছে চার লাখ মোবাইল ফোন । মেড ইন বাংলাদেশ স্বপ্ন নয়, এটা এখন বাস্তব। কারখানা চালুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ওয়ালটন ৮০ হাজারের বেশি ল্যাপটপ উৎপাদন করেছে।

আনন্দবাজার/ফখরুল ইসলাম

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন