ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ড্রাইভারের সিটে বেসরকারি খাত

ডেল্টা প্লান বাস্তবায়ন

দেশে ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার এড়িয়ে ভূ-উপস্থিত পানির ব্যবহার বাড়াতে হবে। শিল্পপ্রতিষ্ঠানে যে পানি অপচয় হয় তা থেকেও বেরিয়ে আসতে হবে। ডেল্টা প্লান ২১০০ বা ব-দ্বীপ বাস্তবায়নে প্রাইভেট পাবলিক পার্টনারশিপ-পিপিপি এ ক্ষেত্রে বড় ধরনের অবদান রাখতে পারে।

শনিবার রাজধানী ঢাকায় ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড এন্ডাস্ট্রি-এফবিসিসিআই এর উদ্যোগে “বাংলাদেশ ডেল্টা প্লান ২১০০: প্রাইভেট সেক্টর ইনভোলভমেন্ট টু অ্যাচিভ এ সেইফ, ক্লাইমেট-রিসাইলেন্ট এন্ড প্রোসপেরাস ডেল্টা” শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

সংগঠনটির মতিঝিলস্থ কার্যালয়ে বেলা ১১টায় সেমিনারে এফবিসিসিআই’র সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, মূলপ্রবন্ধ পাঠ করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক পরিচালক (অবসর) ড. মো. মিজানুর রহমান।

ড. শামসুল আলম বলেন, ভিশনারি ও একশন প্লান ডেল্টা ২০৩০ সালে বাস্তবায়নের জন্য ৮০টি পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। তাতে ৪ বছরে ২৬টি গবেষণার সহযোগিতা নেয়া হয়েছে (ক্রুড কমিশন প্লানসহ)। পিপিপি স্বাধীনতার সময় ১৫ শতাংশ বিনিয়োগ থাকলেও বেসরকারি থেকে কিন্তু এখন ৮৩ ভাগ বিনিয়োগ।

প্রাইভেট সেক্টরকে ড্রাইভিং সিটে বসানো হয়েছে। তাদেরকে সকল ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে। ডেল্টাতে ব্যক্তিখাতে সুনির্দিষ্ট স্থান দেয়া হয়েছে। ১২০ বিলিয়ন রপ্তানিকারক নেদারল্যান্ডের মত ছোট দেশটিও। ডেল্টা প্লানে সহযোগিতা করতে ডাচ সরকারকে আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ডেল্টাতে সব প্লান এক সাথে করা হয়নি। প্রাথমিক ২০৩০ সাল ও ২০৪১ সাল পর্যন্ত পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এসবের ফলাফলের আলোকে পরবর্তী কার্যক্রম নেয়া হবে। ১৩৯টি পোল্ডার ধ্বংস হয়ে গেছে। রাস্তাঘাট যা হয়েছে তা সংরক্ষণ ও উন্নত করাতে কাজ করা হবে। আপাতত নতুন রাস্তা হবে না। ৮০টির মধ্যে ৪৬টি প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ চলছে। এখন বাংলাদেশে বড় কোন বন্যা হবে না ও থাকবে না। অভিযোজনকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রাকৃতিক সম্পদকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। নদীর জীবনকে জীবন্ত রাখার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ড্রেজিংয়ে পিপিপির গুরুত্ব রয়েছে। আমরা উন্নয়নমুখি সহযোগিতা বাড়াবো আয় নির্ভর নয়। সরকারি সেক্টর না করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ড্রেজিং করতে পারে। তাদেরকে ড্রেজিংয়ের দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে।

ড. শামসুল আলম বলেন, কৃষিতে বৃষ্টির পানি বা সংরক্ষিত পানি ব্যবহার বাড়াতে হবে। ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমাতে হবে। যমুনায় ২১৮ কিলোমিটার নদীতে পানি আটকিয়ে রাখা যায়। সরকার পানি সংরক্ষণে জোর দিবে। রয়েছে ব্লু-ইকোনোমিতে প্রচুর সম্ভাবনা।

প্যানেল আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের এসিস্টেন্ট প্রফেসর অরোনি বারকাত, চ্যানেল আই এর হেড অব নিউজ ও এফবিসিসিআই’র উপদেষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শাইখ সিরাজ, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সদস্য সচিব স্থপতি ইকবাল হাবিব ও পরিবেশবিদ এবং ব্র্যাক বিশ^বিদ্যালয়ের ইমিরিটাস প্রফেসর ড. আইনুন নিশাত।

মূলপ্রবন্ধে ড. মো. মিজানুর রহমান বলেন, ডেল্টায় বেসরকারিখাতকে আরো ভালোভাবে সম্পৃক্ত করা যায়। এ প্লানে ৩৫ হাজার ২০৪ কিলোমিটার নদী তীরবর্তী এলাকাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। নদী ব্যবস্থাপনা, সংস্কার ও গতিশীলতা বৃদ্ধি করতে বিশেষ প্রকল্প প্রয়োজন হয়। নানা বর্জ্যরে কারণে নদী ও সাগর দূষিত হচ্ছে এটি বন্ধ করতে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা নদীপথ ব্যবহার করছি না। আমাদের ৭০০ নদীকে যাতায়াতের পথ হিসেবে ব্যবহার না করে বরং সব অর্থব্যয় করা হচ্ছে সড়কপথে।

তিনি বলেন, দেশে কৃষি জমি আছে ৬৫ ভাগ, বন ১৭ ভাগ, শহর এলাকা ৮ ভাগ, ওয়াটার এন্ড ওয়াস্টল্যান্ড ১০ ভাগ। ৪০৫টি নদী আছে। ৪.৭০ মিলিয়ন মাইল, গ্রাম থেকে শহরমুখি হচ্ছে মানুষ। এতে অর্থনীতি গ্রাম থেকে শহরকেন্দ্রীক হচ্ছে। দেশে সাতশ নদীর কথা বলা হলেও আছে মাত্র ৪০৫টি। ডেল্টা প্লানে যে চ্যালেঞ্জগুলো উল্লেখ করা হয়েছে তারমধ্যে রয়েছে ১. তাপমাত্রা বৃদ্ধি, ২. বৃষ্টিপাত ঠিক মতো হচ্ছে না, ৩. বন্যা বাড়ছে, ৪. সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, পানি দূষণ বৃদ্ধি ও নিরাপদ পানির অভাব, খাদ্য ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বাড়ছে ইত্যাদি। এসডিজিতে বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের তুলনায় এগিয়ে আছে। তিনটি দুর্যোগ আমাদের পেছনে নিয়ে গেছে। ব-দ্বীপ পরিকল্পনা পৃথিবীর প্রথম ১০০ বছরের পরিকল্পনা।

ডেল্টার মিশন হচ্ছে, ১. ওয়াটার সিকিউরিটি, ২. ফুড সিকিউরিটি, ৩. অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন, ৪. পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা। এখানে বাংলাদেশকে ৬টি হটস্পটে ভাগ করা হয়েছে। ১. কোস্টাল জোন-২৭ হাজার ৭৩৮ কিলোমিটার, ২. ব্যারিন্ড এন্ড ড্রোট প্রোন এরিয়া-২২ হাজার ৮৪৮ কিলোমিটার, ৩. হাওর-১ হাজার ৬৭৪ কিলোমিটার, ৪. চট্টগ্রাম পাহাড়ি অঞ্চল- ১৩ হাজার ২৯৫ কিলোমিটার, নদীপথ ৩৫ হাজার ২০৪ কিলোমিটা ও শহরাঞ্চল হচ্ছে ১৯ হাজার ৮২৩ কিলোমিটা। ডেল্টাতে ৮০টি প্রজেক্ট রয়েছে। সেখানে ৫৬টি ইনভেস্টমেন্ট বেইজড ও ২৪টি স্টাডি প্রজেক্ট।

পানি মন্ত্রণালয় ৪০টি, স্থানীয় সরকারের ১৩টি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ৩টি, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের ২টি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৩টি ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের ১৮টিসহ ৮০টি প্রকল্প।

ফাইনান্সিং প্লানের মধ্যে রয়েছে ৮০টি প্রকল্প যা ২০৩০ সালে শেষ হওয়ার কথা। ০.৫ শতাংশ পাবলিক প্রাইভেট পার্টনাশিপে করার কথা রয়েছে। ২.৫ শতাংশ অপারেশন এন্ড মেইনটেইন্স (ও এন্ড এম কোস্টস), ১.৫ শতাংশ পাবলিক সেক্টর।

পাবলিক সেক্টর ইনভোলভমেন্ট-পিপিপি ৬টি প্রকল্পে সরাসরি যুক্ত হতে পারে। ১. ড্রেজিং, ২. জমি উদ্ধার (কোস্টাল জোন) এটি ব্লু-ইকোনোমির সাথে সম্পৃক্ত। বাংলাদেশের ২১৬টি ড্রেজার প্রয়োজন। সেখানে সরকারি আছে ২০টি, ৩. শিপ বিল্ডিং, দেশে ১২৪টি শিপ বিল্ডিং ও রিপেইরিং ইয়ার্ড রয়েছে। সামান্য জায়গা পার হতে ব্রিজ বানিয়ে অর্থব্যয় করতে হচ্ছে ফেরি ভালোভাবে কাজ না করায়। ৪. ওয়াটার সাপ্লাই এন্ড স্যানিটেশন- এখানে এনজিওরাও ভালো কাজ করছে। ৫. এগ্রিকালচার এন্ড ইরিগেশন, ৫. বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও ড্রেনেজ-বৃক্ষরোপন, পর্যটন করা যেতে পারে। এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং ড্রেজিং। তা ছাড়া ২৪টি প্রকল্পে পিপিপিতে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেন, ডেল্টা প্লানটি, সরকার, ব্যবসায়ী ও সাধারণ সবাইকে ভালোভাবে বুঝতে হবে। পাবলিক সেক্টর সুশাসন নিশ্চিত করবে। সরকারি সুযোগ-সুবিধা সবাই সমানভাবে পাবে। ব্যবসায়ীরা যাতে বাউন্ডারিটা না ভাঙেন সেটি নিয়ে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, প্রাকৃতিক সম্পদ আমরা নষ্ট করছি। এ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে শিল্পায়নে জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ বিষয়ে সচেতন হয়ে কাজ করতে হবে। উন্নয়নে মানুষের অধিকার, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও ব্যবসায়ী উপকারিতা দেখতে হবে। আমাদের ১৪ ভাগ বন আছে মাত্র। এখন বন বাড়াতে না পারলেও সবুজায়ন করতে হবে। শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো কি পরিমাণ পানি ব্যবহার করছে সেটির দামও আদায় করা দরকার।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, কৃষিই হচ্ছে বাংলাদেশের মূল শক্তি। এটিই পাল্টে দিতে পারে আমাদের অর্থনীতির চিত্র যা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল। প্রথম ৮৫ হেক্টর জমির ৬৫ভাগই আবাদি। স্বাধীনতার পূর্বে ২৮ শতাংশ জমি ছিল মাথা পিছু। দেশ সাড়ে ৪ কোটি টন খাদ্য উৎপাদন করছে। ৬০-৭০ ভাগ মানুষ কৃষির সাথে সম্পৃক্ত।

তিনি বলেন, বিশে^র প্রথম ১০টি খাদ্য উৎপাদন তালিকাতে রয়েছে বাংলাদেশ। পরিবেশের প্রথম প্রতিকূলতায় কৃষি বাধার মুখে পড়ে। পিপিপিতে কৃষির সম্পৃক্ততার মধ্যে রয়েছে, সীড সেক্টর, রপ্তানি, হাইব্রিড উৎপাদনে। ২০২০ সালে ১ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ৫ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাবার চিন্তা রয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তিতে যেতে হবে কৃষিকে। পিপিপি যেমন লাভজনক কিছু করে তেমনি আমরা কৃষিকে লাভজনক করবো। সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। নেদারল্যান্ড ১১৮ বিলিয়ন ডলার কৃষিপণ্য রপ্তানি করে। ভিয়েতনামের রপ্তানি ৪২ বিলিয়ন ডলার। আমাদের উৎপাদিত ফসল সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে যায়। কৃষিযন্ত্র আমদানি করতে হয় এক্ষেত্রে পিপিপি এগিয়ে আসতে পারে।

পানি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার বলেন, পরিবেশ ও বন বিনষ্ট হচ্ছে। এক্ষেত্রে সঠিক ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। ব্যবস্থাপনায় আমরা বেশ দুর্বল। মাটির নিচের পানি ব্যবহারের ব্যাপারে আমরা জানি না। বর্ষার পানির মাত্র ৮ শতাংশ ব্যবহার হয় বাকিটা বঙ্গোপসাগরে চলে যায়। ২০১৩ সালের পানি আইন করা হয়। শিল্পায়নে ইন্ডাস্ট্রিয়াল বাড়ছে। আগে শুধু ছিল কৃষিতে। পানির ছায়ামূল্য নির্ধারণ করছে সরকার। আরো ১০ শতাংশ পানি ধরে রাখতে পারলে ভালো হয়। এগুলো নদীন, খাল, বিল ও হাওরে সংরক্ষণ করতে হবে। পানি উন্নয়নের ১৮ হাজার স্ট্রাকচারের অনেকগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। কেননা এগুলো ১৯৬০ এর দশকে নেয়া হয়েছিল।

তিনি বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কারিগরি ও প্রাকৃতিক কাজ করা হয়। এতে করে আমরা উদ্বাস্তুদের স্থান দেয়া হয় না।

শাইখ সিরাজ বলেন, নেদারল্যান্ড ১৯৫০ সালে বন্যার কারণে ১৯৫২ সালে বন্যা নিয়ন্ত্রণে বাঁধ ও ডেল্টা প্লান তৈরি করে ২ হাজার মানুষের মৃত্যুর কারণে। দেশটি এখন এগ্রিকারচার হাবে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশেও এখন কৃষিতে বিনিয়োগ বাড়ছে। এটি আরো বাড়াতে হবে।

ইকবাল হাবিব বলেন, ১৭ শতাংশ জিডিপি ব্যয় করে নেদারল্যান্ড নিজ দেশ রক্ষা করছে। এখন থেকে আমাদের দেশে হতে হবে টেকসই উন্নয়ন। ধনী, বিশেষ গোষ্ঠী ও সবাইকে নিয়ে উন্নত করতে হবে। বছরে ১ শতাংশ হারে কৃষিজমি হারাচ্ছে দেশ। এ জন্য ভূমি ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। কত কম জমিতে কৃষি উৎপাদন বাড়ানো যায় সে চিন্তা ডেল্টাতে নেই। বাস্তুসংস্থানে পিপিপিকে গুরুত্ব দিতে হবে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দেখিয়েছে খাদ্যনিরাপত্তা নিজেকেই করতে হবে।

ড. আইনুন নিশাত বলেন, ডেল্টার প্রথমই হচ্ছে বন্যাকে নিয়ন্ত্রণ করা। ১৯৫৬ সালের বন্যায় ভুখা মিছিলে পুলিশ গুলি করলে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয় পাকিস্তানে। বর্তমানে যে আবহাওয়া চলছে তা দু’মাস চললে দুর্ভিক্ষ শুরু হবে। এদেশে বন্যা নিয়ে ১৯৬৪ সালে ক্রুড কমিশন মাস্টার প্লান করা হয়, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে আরেকটি মাস্টার প্লান করা হয়। ডেল্টা প্লানের ৮০টি পরিকল্পনার একটিও নতুন না। নেদারল্যান্ডের পানি ব্যবস্থাপনার সাথে আমাদের ১৮ শতাংশ মিল আছে। সে ক্ষেত্রে তাদের সাথে কাজ করার সুযোগ আছে।
পিপিপি সেক্টর সম্পর্কে বলেন, সমুদ্রতীরে ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত জমি বাড়ানো যায় বালি দিয়ে ভরাট করে। সেখানে জোনভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা করা যায়।

তিনি বলেন, দেশে ড্রেজিং করে হাজার কোটি টাকা ব্যয় করলেও এর কোন উপকারিতা আমরা পাই না। এক কিলোমিটার রাস্তায় মালামাল নিতে সাড়ে ৭ টাকা, রেলে ২ টাকা ও নদীপথে ৭ পয়সা ব্যয় হয়। সেখানে নদীপথের গুরুত্ব দেশে দেয়া হচ্ছে না। নেদারল্যান্ড এম্বাসির প্রতিনিধি ওসমান হারুনী বলেন, ডেল্টা প্লান বাস্তবায়নটি কঠিন। কেননা শুধু কৃষিকে সামনে আনলেও বলতে হয় এখানে প্রযুক্তির প্রয়োজন। এক্ষেত্রে পিপিপি বিনিয়োগ করতে হবে।
এসিআই গ্রুপের চেয়ারম্যান আনিস-উদ-দৌলা বলেন, কৃষি উৎপাদনে নতুন কিছু উদ্ভাবনে গুরুত্ব দিতে হবে। তা না হলে আমরা পিছিয়ে পড়বো।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন