শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তেলের দাম বাধ্য হয়েই বাড়িয়েছে সরকার: জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী

তেলের দাম বাধ্য হয়েই বাড়িয়েছে সরকার

বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে আমাদের পিঠ ঠেকে গেছে, তেলের দাম বাধ্য হয়েই বাড়িয়েছে সরকার। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে দেশেও তেলের দাম কমানো হবে। শনিবার (৬ আগস্ট) সকালে গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশের পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে ব্যাপক লোকসানের হাত থেকে বাঁচাতেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এখন যত্রতত্র ডিজেল ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা ছাড়া উপায় নেই। দেশবাসীকে এমন পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরতেই হবে। আর এই জ্বালানি তেলের নতুন দাম সমাজের সবার কাছে সহনীয় হবে না। অর্থনীতির স্বার্থেই সরকারের কাছে মূল্যবৃদ্ধি ছাড়া রাস্তা ছিল না।

তিনি বলেন, তাছাড়া কলকাতায় ডিজেলের বাজারমূল্য ১১৪ টাকা প্রতি লিটার, সেখানে আমরা ডিজেল বিক্রি করেছি ৮০ টাকায়। এই বিরাট ব্যবধানের ফলে বিশাল পরিমাণ তেল অবৈধভাবে পাচার হওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকে। এদিকে বিজিবিকে বলা হয়েছে এবং সীমান্ত কড়া পাহারা বসানো হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, সব দেশেই জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের অবস্থা হয়েছে জাহাজের দাম বেড়ে গেছে, তেলের দাম লাগামহীন হয়ে গেছে। কিছুটা সীমিত হলেও আরেকটু যদি বেশি কমত তাহলে আমাদের এই পর্যায়ে যেতে হতো না, আমাদের পিঠ ঠেকে গেছে।

তিনি বলেন, আমি আগে থেকেই বার বার বলে আসছি আপনারা সাশ্রয়ী হন, তেলের ব্যবহার কমান, গাড়ি কম ব্যবহার করেন। আপনারা জানেন যানবাহন সেক্টরে সবচেয়ে বেশি ডিজেল ব্যবহার করা হয়।
অন্যদিকে মাত্র ১০ শতাংশ ডিজেল ব্যবহার হতো বিদ্যুতে। আমি মনে করি, এখনো যানবহন নিয়ন্ত্রণ করার সময় আছে।

আরও পড়ুনঃ  কোরবানির পশু নিয়ে দুশ্চিন্তায় খামারিরা

আমি মনে করি, যদি বিশ্ববাজারে দাম কমে আসে তাহলে আমরাও দাম কমাব আমরা সেই সিদ্ধান্তই নিয়েছি। অ্যাডজাস্টমেন্ট দুই দিকেই থাকা উচিত। বৃদ্ধি সময় থাকা উচিত, কমার সময়ও থাকা উচিত। সবাইকে আমি অনুরোধ করব এত নার্ভাস হওয়ার কিছু নেই।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন