দেশের বাজারে পোশাক খাতের মূল্য দিন দিন কমছে। এর সাথে কমছে বৈদেশিক মুদ্রা আয়, কর্মসংস্থানের সুযোগ, এবং রফতানি। এ অর্থবছরে শুরুর প্রথম পাঁচ মাসে পোশাক রফতানি ৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল। এ ডিসেম্বরেও রফতানিতে পতনের ধারা বিদ্যমান রয়েছে।
পোশাক খাতের শিল্প মালিকদের সংকলিত হালনাগাদের তথ্যানুযায়ী, ডিসেম্বরের প্রথম দুই সপ্তাহে পোশাক রফতানি র্পূবের বছরের থেকে ৩ দশমিক ২৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
ডিসেম্বরে পোশাক রফতানি নিয়ে বিজিএমইএ বলছে, চলতি মাসের ৩ থেকে ১৬ তারিখ পর্যন্ত রফতানি নিম্নমুখী প্রবণতায় চলছে। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ১২৪ কোটি ৬৩ লাখ ৩৩ হাজার ডলারের পোশাক রফতানি হয়েছে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের একই সময়ে রফতানি হয়েছিল ১২৮ কোটি ৮৫ লাখ ৫০ হাজার ডলারের পোশাক। সে হিসাবে আলোচ্য সময়ে পণ্যটির রফতানি কমেছে ৩ দশমিক ২৮ শতাংশ।
বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক জানান, রফতানি ধসের প্রবণতা অনেক বেশি তীব্র হচ্ছে। মুদ্রা বিনিময় মূল্যের কারণে অনেক উচ্চহারে মূল্য প্রস্তাব করতে হচ্ছে ক্রেতাদের। ফলে প্রতিযোগিত সক্ষমতা বাড়ানোর কোনো পথ পাওয়া যাচ্ছে না। পাশাপাশি পণ্যবৈচিত্র্য ও মূল্য সংযোজনের বিদ্যমান সক্ষমতা এবং অতিরিক্ত উৎপাদন সক্ষমতার প্রভাবও আমাদের পীড়া দিচ্ছে।
ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তুলনামূলকভাবে রফতানি কমেছে, রফতানি নিম্নমুখী পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে নন-কটন নিটেড জার্সি ও পুলওভার। এ পণ্যগুলোর রফতানি মূল্য ৩৫ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ কমেছে। রফতানি সবচেয়ে বেশি বেড়েছে এমন পণ্যগুলোর মধ্যে ছিল কৃত্রিম সুতা-কাপড়ে তৈরি মেনজ-বয়েজ ওভেন আনোরাক্স। এ পণ্যের মূল্য বেড়েছে ১০২ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
বিজিএমইএ বলছে , এ বছর শীর্ষ ২০ পোশাক পণ্যের মধ্যে ১৩টির রফতানি হ্রাস পেয়েছে। শীর্ষ ২০ পণ্যের মধ্যে দাম কমেছে নয়টির। সবচেয়ে বেশি দাম কমেছে এমন পণ্যের মধ্যে আছে ম্যানমেড ফাইবারের তৈরি ওভেন ব্লাউজেস। পণ্যটির মূল্য ২৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ কমেছে ।
আনন্দবাজার/ইউএসএস