ঢাকা | রবিবার
২৫শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১১ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চিকনে চড়া মোটায় স্বস্তি

চিকনে চড়া মোটায় স্বস্তি

১৫ দিনে ব্স্তাপ্রতি বেড়েছে ২৫০ টাকা

  • সরবরাহ ঘাটতির কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা

দেশে চালের বাজার বেশ কিছুদিন স্থিতিশীল থাকার পর আবার বাড়ছে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে বস্তাপ্রতি প্রায় আড়াশই টাকা করে। প্রায় সব ধরনের চালের দামই বেড়ে গেছে। এতে সাধারণ ক্রেতাদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে।

চট্টগামের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন উত্তরাঞ্চলের মিল মালিকরা। এ বছর বোরো ধান ওঠার সময়ও চালের বাজার বাড়তি ছিল। এখন বাজারে কিছুটা সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ভোক্তারা বলছেন, ধান-চালের বাজারে সরকারের নজরদারিটা বাড়ানো দরকার। কারণ মৌসুমের এ সময় চালের বাজার বাড়ার বিশেষ কোনো কারণ নেই। এটি কারসাজি কিনা খতিয়ে দেখা দরকার।

বাণিজ্যিক নগরী চট্টগ্রামের দুই বৃহৎ চালের আড়ত চাক্তাইয়ের চালপট্টি ও পাহাড়তলীতে গতকাল খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে সব ধরনের সরু চালের দাম বস্তাপ্রতি সর্বোচ্চ ২৫০ টাকা বেড়ে গেছে। এর মধ্যে জিরাশাইল সিদ্ধ, নাজিরশাইল সিদ্ধ, মিনিকেট সিদ্ধ, কাটারিভোগ সিদ্ধ, স্বর্ণা সিদ্ধ, বেতি আতপ, পাইজাম আতপ, মিনিকেট আতপ, কাটারিভোগ আতপ, মোটা সিদ্ধ ও চিনিগুঁড়া চাল অন্যতম।

তবে স্থিতিশীল আছে কেবল মোটা সিদ্ধ চালের দাম। এসব চালের সিংহভাগ আসে উত্তরাঞ্চলের দিনাজপুর, কুষ্টিয়া, ময়মনসিংহ, বগুড়া, মেহেরপুর ও কিশোরগঞ্জের আশুগঞ্জ থেকে।

চালের আড়তদাররা জানান, গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে জিরাশাইল সিদ্ধ বস্তায় ২০০ টাকা বেড়ে গিয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৪০০ টাকায়। মিনিকেট সিদ্ধ ১৫০ টাকা বেড়ে ২ হাজার ৫০০ টাকা, পাইজাম সিদ্ধ বস্তায় ২০০ টাকা বেড়ে ২ হাজার ৫০০ টাকা, কাটারিভোগ সিদ্ধ ২৫০ টাকা বেড়ে গিয়ে ৩ হাজার ৬০০ টাকা, কাটারিভোগ আতপ বস্তাপ্রতি ২৫০ টাকা বেড়ে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৭০০ টাকা, মিনিকেট আতপ ১৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬৫০ টাকা, পাইজাম আতপ ২০০ টাকা বেড়ে ২ হাজার ৬০০ টাকা, স্বর্ণা সিদ্ধ ২৫০ টাকা বেড়ে ২ হাজার ৪০০ টাকা, নাজিরশাইল সিদ্ধ ২০০ টাকা বেড়ে ৩ হাজার ৬৫০ টাকা এবং মোটা সিদ্ধ চাল ১০০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার টাকায়।

চট্টগ্রাম রাইচ মিলস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রফিক উল্লাহ বলেন, আসলে ধানের দাম বাড়লে চালের বাজার বাড়ে। অনেকে চালের বাজারে বিভিন্ন ধরনের সিন্ডিকেট কারসাজির কথা বলেন। আসলে বিষয়টি ঠিক নয়। এছাড়া চলতি বোরো মৌসুমে হাওর অঞ্চলে বন্যার কারণে প্রচুর ফসল নষ্ট হয়েছে। ফলে ধানের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে ধানের বাজারে।

পাহাড়তলী বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এস এম নিজাম উদ্দিন বলেন, এই মুহূর্তে চালের দাম কেন বাড়ছে সেটি আমরা বুঝতে পারছি না। কোরবানি ঈদের আগে চালের দাম কিছুটা কম ছিল। কিন্তু কোরবানি ঈদের পর আবারও বাড়তে শুরু করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার মনেকরি।

সংবাদটি শেয়ার করুন