ঢাকা | রবিবার
১০ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২৫শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য নিতে আগ্রহী রাশিয়া

বাংলাদেশ থেকে আবারও আলুসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য নিতে আগ্রহী হয়েছে রাশিয়া। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ে রাশিয়ার সঙ্গে এক সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। রাষ্ট্রদূত আলেকজেন্ডার আই ইগনাতভ এর নেতৃত্বে একটি দল রাশিয়ার পক্ষে সমঝোতা চুক্তিতে অংশ নেয়।

এসময় এমওপি সার আমদানি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) চেয়ারম্যান মো. সাইদুল ইসলাম বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন এবং রাশিয়ার পক্ষে চুক্তি করেন জেএসসি ফরেন ইকোনমিক অ্যাসোসিয়েশন প্রোডিংটর্গ এর জেনারেল ডিরেক্টর পোটাপোভ মিখাইল পেটরোভিস। চুক্তি অনুযায়ী রাশিয়া থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানি করা হবে, যার সাথে ৩০ হাজার মেট্রিক টন অতিরিক্ত ধরা হয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ব্রাউন ড্রাউট ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতির কারণে বাংলাদেশ থেকে আলু আমদানিতে রাশিয়ার দেওয়া সাময়িক নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ও রাশিয়ার ৪৮ বছরের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দুই দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে অবদান রাখছে। বাংলাদেশ সৃষ্টির সময় থেকে রাশিয়া এ দেশের অকৃত্রিম বন্ধু। বাংলাদেশের আমদানিকৃত সারের সিংহভাগ আসে রাশিয়া থেকে।

তিনি আরও বলেন, দেশের বিদ্যুৎখাতে রাশিয়া অনেক বিনিয়োগ করেছে এবং এটা অব্যাহত থাকবে। কৃষি ও মৎস্য উন্নয়নে সহযোগিতা বৃদ্ধিতেও উভয় দেশ সম্মত হয়। বণিজ্যিক ভিত্তিতে শাক-সবজি চাষে রীতিমতো বৈপ্লবিক অগ্রগতি হয়েছে। কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত ও রপ্তানিতে রাশিয়ার সহযোগিতা চান তিনি।

রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজেন্ডার আই ইগনাতভ বলেন, বাংলাদেশ-রাশিয়া সম্পর্ক অনেক দিনের। দু’দেশের এ সম্পর্ক রাজনীতি, অর্থনীতি ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে অবদান রাখছে। রাশিয়া সরকার বাংলাদেশে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরিতে বড় ধরনের বিনিয়োগ করছে। অন্য শিল্প-বাণিজ্যের প্রসারেও রাশিয়া বিনিয়োগ করছে।

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, রাশিয়া যেসব দেশ থেকে আলু আমদানি করে এর মধ্যে বাংলাদেশের আলুর মান ভালো। এক্ষেত্রে বিভিন্ন অনুজীবের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়া বাংলাদেশ যেসব কৃষিজাত পণ্য রপ্তানি করতে চায় তার একটি তালিকাও চেয়েছেন রাষ্ট্রদূত। রাশিয়ার বাজারে বাংলাদেশের পণ্য প্রবেশকে স্বাগত জানান তিনি।

কৃষিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে চুক্তি স্বাক্ষরের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান ও অতিরিক্ত সচিব, রাশিয়ার প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন বৈদেশিক বাণিজ্য দপ্তরের প্রধান আলেকজেন্ডার মোসকালেংকো, জেএসসি প্রোডিংটর্গ জেনারেল ডাইরেক্টর পোটাপোভ মিখাইল পেটরোভিস প্রমুখ।

 

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন