ঢাকা | রবিবার
২৫শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১১ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তেল-চালে এবার স্তস্তি

তেল-চালে এবার স্তস্তি
  • দীর্ঘশ্বাস আটা-ময়দায়

রাজধানীর বাজারগুলোতে কমেছে মোটা চাল, সয়াবিন ও পাম তেলের দাম। সেই সঙ্গে কমেছে মসুর ডাল, আলু, পেঁয়াজ ও রসুনের দাম। তবে বেড়েছে আটা ও ময়দা, হলুদ, আদা ও দারুচিনির দাম। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। রাজধানীর শাহজাহানপুর, মালিবাগ বাজার, কারওয়ান বাজার, বাদামতলী বাজার, সূত্রাপুর বাজার, শ্যামবাজার, কচুক্ষেত বাজার, মৌলভীবাজার, মহাখালী বাজার, উত্তরা আজমপুর বাজার, রহমতগঞ্জ বাজার, রামপুরা ও মিরপুর-১ নম্বর বাজারের পণ্যের দামের তথ্য নিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে টিসিবি।

টিসিবির তথ্যমতে, গত এক সপ্তাহে মোটা চালের দাম কমেছে ২ শতাংশ। এক সপ্তাহ আগে ৪৮ থেকে ৫২ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া মোটা চাল এখন ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। খোলা সয়াবিন তেলের দাম কমেছে ২ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এক সপ্তাহ আগে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় লিটার এখন বিক্রি হচ্ছে ১৬৬ থেকে ১৭৫ টাকায়। আর পাঁচ লিটার বোতলের সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ৯৮০ টাকায়।

এক সপ্তাহ আগে এই তেল ৯৬০ থেকে ৯৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিলো। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে বোতলের পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের দাম কমেছে ৩ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। বোতলের পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের পাশাপাশি এক লিটার বোতলের দামও কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে এক লিটার বোতলের সয়াবিন তেলের দাম কমেছে পাঁচ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ।

এক সপ্তাহ আগে ১৯৫ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হওয়া এক লিটার সয়াবিন তেলের বোতল এখন বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লুজ পাম অয়েলের দাম কমেছে ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এক সপ্তাহ আগে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা লিটার বিক্রি হওয়া লুজ পাম অয়েল এখন ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি ও আমদানি করা উভয় ধরনের পেঁয়াজের দাম ১০ দশমিক ৫৩ শতাংশ কমেছে। এক সপ্তাহ আগে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় কেজি বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজ এখন ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা পেঁয়াজের কেজিও ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ৪৫-৫০ টাকা। বড় দানার মসুর ডালের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে ২ দশমিক ৩৩ শতাংশ কমে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এক সপ্তাহ আগে এই ডালের কেজি ছিল ১০৫ থেকে ১১০ টাকা। ছোট দানার মসুর ডালের দাম কমেছে ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ। এক সপ্তাহ আগে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া ছোট দানার মসুর ডাল এখন ১২৫ থেকে ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আলুর দাম ৫ দশমিক ১৭ শতাংশ কমে ২৫ থেকে ৩০ টাকা, দেশি রসুনের দাম ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ কমে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, দেশি শুকনো মরিচের দাম ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ কমে ২২০ থেকে ৩০০ টাকা এবং ছোট এলাচের দাম ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ কমে ১ হাজার ৬০০ থেকে ৩ হাজার টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে টিসিবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, আটা, ময়দা ও হলুদসহ কয়েকটি নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। খোলা আটার দাম ৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেড়েছে। এক সপ্তাহ আগে ৪০ থেকে ৪২ টাকার খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। প্যাকেট আটার দাম বেড়েছে দশমিক ৯৮ শতাংশ। এক সপ্তাহ আগে ৪৮ থেকে ৫৪ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া প্যাকেট আটা এখন ৪৮ থেকে ৫৫ টাকা। খোলা ময়দার দাম ২ দশমিক ৬১ শতাংশ বেড়ে এখন ৫৮ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে খোলা ময়দার কেজি ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা।

গত এক সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে আমদানি করা আদার দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে আমদানি করা আদার দাম ১৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেড়ে এখন ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে এই আদার কেজি ছিল ৭০ থেকে ১০০ টাকা। এছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে আমদানি করা হলুদের দাম ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ বেড়ে কেজি ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা, দারুচিনি ৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেড়ে ৪২০ থেকে ৫০০, লবঙ্গ ২ দশমিক ৩৩ শতাংশ বেড়ে এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ এবং চিনি ১ দশমিক ২৫ শতাংশ বেড়ে ৮০ থেকে ৮২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন