ঢাকা | বুধবার
৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্যা মোকাবিলায় ৪৫০০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

সিলেট, সুনামগঞ্জে ও উত্তরের কিছু কিছু জেলায় বন্যা মোকাবিলা ও পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ৫০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক। ডলারপ্রতি ৯০ টাকা ধরলে বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় চার

সিলেট, সুনামগঞ্জে ও উত্তরের কিছু কিছু জেলায় বন্যা মোকাবিলা ও পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ৫০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক। ডলারপ্রতি ৯০ টাকা ধরলে বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় চার হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

বিশ্বব্যাংকের এ ঋণে সিলেট ও সুনামগঞ্জের ১৪ উপজেলার ১.২৫ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ উপকৃত হবেন।
পাশাপাশি বন্যাপ্রবণ জেলায় অভ্যন্তরীণ বন্যার বিরুদ্ধে দুর্যোগ প্রস্তুতির উন্নতিতেও এ ঋণ ব্যবহার করা হবে।

গতকাল শুক্রবার (১৬ জুলাই) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

‘রেজিলেন্ট ইনফ্রাসট্রাকচার অব অ্যাডাপটেশন অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি রিডাকশন’ প্রকল্পের আওতায় ৫০০টির বেশি বহুমুখী বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র, অ্যাকসেস রাস্তা এবং জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে এ ঋণ দিয়ে। এর মাধ্যমে নদী ও আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে।

স্বাভাবিক সময়ে বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হবে। এসব অবকাঠামোতে সৌরশক্তি ব্যবস্থা, পানি, স্যানিটেশন এবং নানান স্বাস্থ্য সুবিধা থাকবে। নারী ও দুর্বল জনগোষ্ঠীর জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে এসব আশ্রয়কেন্দ্রে। প্রকল্পটি বন্যার প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া এবং আচরণগত পরিবর্তনের পদক্ষেপে সরকারি সংস্থাগুলোর সক্ষমতা জোরদারে সহায়তা করবে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, ‘সিলেট অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এ দুর্যোগ দেখা দিয়েছে। ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি, অপ্রত্যাশিত বন্যা এবং তীব্র প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশকে বন্যাপ্রবণ এলাকায় দুর্যোগ প্রস্তুতির উন্নতিতে সাহায্য করবে প্রকল্পটি। এটি দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া থেকে একটি দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিতে দেশের রূপান্তরকেও সহায়তা করবে।’

বিশ্বব্যাংকের দৃষ্টিতে, বাংলাদেশ একটি নিম্নাঞ্চলীয় ব-দ্বীপ। বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়সহ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাবের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বন্যার মাত্রা ও তীব্রতা বাড়ছে। প্রতি বছর বন্যা এবং নদীভাঙনে প্রায় এক মিলিয়ন মানুষকে প্রভাবিত করে।

ফলে নতুন এ প্রকল্পটি তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, পদ্মা এবং সুরমা ও মেঘনা নদীর অববাহিকার অত্যন্ত বন্যাপ্রবণ জেলাগুলোর জীবন ও সম্পদ রক্ষায় সাহায্য করবে। জেলাগুলো হলো- নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ , রাজবাড়ী, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ।

সংবাদটি শেয়ার করুন