- কোরবানি ঘিরে ব্যবসায়ীদের মওকা
আসন্ন কোরবানির ঈদকে ঘিরে মসলার দাম চড়া হয়েছে। ইতোমধ্যে মসলা পণ্য পেঁয়াজের ঝাজে দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে দ্বিগুণ। আদা ও রসুনের দামেও চড়া। বাড়ার তালিকায় পিছিয়ে নেই এলাচ ও দারুচিনি।
গতকাল শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন মসলার বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। ঈদের আগে প্রতিবছর মসলার চাহিদা বাড়ে কয়েকগুণ। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে মসলার দামও। সেই ধারায় এবারে ঈদুল আজহাকে ঘিরে এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। বাজারের স্থান ভেদে দামের ভিন্নতা রয়েছে। এবারেও বাজারে সব ধরণের মসলার দাম বেড়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, পেঁয়াজ বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে কেজিতে প্রায় ৬০ টাকা। আগে সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল কেজিতে প্রায় ৩৫ টাকা দরে। রসুন বিক্রি হচ্ছে প্রায় ১৩০ টাকা কেজি দরে। আগের সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল প্রায় ১০০ টাকা কেজি দরে। আদা বিক্রি হচ্ছে প্রায় ১০০ টাকা কেজি দরে। আগের সপ্তাহে প্রায় ৮৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছিল। আমদানি করা শুকনা মরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৪০০ টাকা, দেশি হলুদ প্রায় ২৫০ টাকা এবং লম্বা জিরা প্রায় ৪৫০ টাকায় কেজি প্রতি দরে।
দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা কেজি দরে। সেই সঙ্গে এলাচ বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার টাকা কেজি দরে। লবঙ্গ এক হাজার ৮০০ টাকা, গোল মরিচ এক হাজার ২০০ টাকা, সাদা গোল মরিচ দুই হাজার টাকা, জিরা ৫০০ টাকা, জয়ত্রী তিন হাজার টাকা, জয়ফল তিন হাজার টাকা, কালো এলাচ দুই হাজার টাকা, পোস্ত দানা চার হাজার টাকা, কিসমিস ৬০০ টাকা, শাহী জিরা তিন হাজার টাকা, কাবাব চিনি চার হাজার টাকা, স্টার মসলা দুই হাজার টাকা এবং কাঠবাদাম ৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মসলার দাম বাড়ায় বিপদের মুখে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যমআয়ের মানুষ। ঈদের আগে সরকারের কাছে মসলা সহনীয় পর্যায়ে আনার দাবি রাখেন তারা। অপরদিক মসলা খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলেন, সবকিছুর দাম উর্ধ্বমুখী হওয়ায় মসলার দামও বেড়েছে। এসব দাম বৃদ্ধির পেছনের যুক্তি হিসেবে তারা বলেন, করোনার পর ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে পণ্য আমদানিতে খরচ বেড়েছে।
মসলার দাম বৃদ্ধির প্রসঙ্গে মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এনায়েত উল্লাহ বলেন, পাইকারি বাজারে মসলার দাম না বাড়লেও খুচরায় দাম বাড়ে। বাজার তদারকি না থাকায় পণ্যের দাম বেড়েছে জানিয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাবের) ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে মসলার দাম বাড়েনি। এছাড়া বর্তমানে যে পরিমাণ মসলা মজুত রয়েছে, তাতে আরও চার মাস চলবে।