ঢাকা | রবিবার
২৩শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৯ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে শীতের পোশাক

হঠাৎ করে রাজধানীসহ দেশের সকল স্থানেই শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। আর এ তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে বেড়েছে গরম কাপড়ের চাহিদাও। শহরের ফুটপাতের দোকানগুলোতে জমজমাট হয়ে উঠেছে শিশু ও বয়স্কদের কাপড়-চোপড় বেচাকেনা।

রাঙ্গামাটিতে হঠাৎ শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ফুটপাতের দোকানগুলি থেকে পাহাড়ে বসবাসরত নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন কাপড় ক্রয় করছে। নতুন কাপড়ের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় পুরনো কাপড় দোকানের দিকে বেশি ঝুঁকছে ক্রেতারা।

প্রতি বছর রাঙ্গামাটি জেলা ও উপজেলাগুলোতে শীতের প্রকোপ একটু বেশি হওয়ায় হিমশিম খেতে হয় পাহাড়ে বসবাসরত গরীব পরিবারগুলোর। তাই বেশি দামে নয়, কম দামেই গরম পোশাক কেনার দিকে ঝুঁকছেন তারা। শীত উপলক্ষে জেলার ১০টি উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে শীতের পোশাক আমদানী ও বেচাকেনা শুরু হয়েছে। সবকিছুর দাম বৃদ্ধির সাথে সাথে বেড়েছে পোশাকের দামও।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাঙ্গামাটি জেলার কলেজ গেইট, বনরূপা, রিজার্ভ বাজার, তবলছড়িসহ বিভিন্ন স্থানে বসেছে পুরানো কাপড় বেচার এসব রমরমা ব্যবসা ভ্রাম্যমাণ দোকান। সকাল থেকে অনেক রাত পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের গরম কাপড় বিক্রি হচ্ছে। এসব কাপড় ব্যবসায়ীরা ঢাকা, চট্টগ্রাম থেকে আমদানী করে বিক্রি করছে। যেখানে রীতিমত ভিড় করছে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ।

গরম কাপড় ব্যবসায়ী কাশেম জানান, শীতের তীব্রতা বাড়ায় চট্টগ্রাম থেকে আমরা শীতের পুরোনো কাপড় কিনে এনেছি। একটি গাইটে ৩৫০/৪০০টি কাপড় থাকে। যার দাম ৮/৯ হাজার টাকা। তবে কাপড়ের ধরনের উপর গাইটের দাম নির্ভর করে। এবছর বেচাকেনা মোটামুটি ভালোই হচ্ছে।

গরম কাপড়ের দোকানে আসা ক্রেতা সিনারী চাকমা বলেন, শীতের তীব্রতা বাড়ায় গরম কাপড় কিনতে এসেছি। কারণ পুরাতন এসব শীতের দোকান গুলোতে সাধ্যের ভিতর অনেক ভালো ভালো মানের কাপড় পাওয়া যায়। নতুন কাপড়ের দোকানে গরম কাপড়ের দাম একটু বেশী।

কিন্তু পুরাতন কাপড়ের দোকানে কম মূল্যে তা পাওয়া যায়। দামও হাতের নাগালে। তবে এবার দাম একটু বেশী মনে হচ্ছে। আর এইসব গরম কাপড়ে মাঝে মধ্যে ছেড়া থাকে তাই অনেক ক্ষন বেছে, দেখে শুনে এইসব কাপড় নিতে হয়। মাঝে মধ্যে ভাগ্যের জোরে নতুন কাপড়ের মতো গরম কাপড় পাওয়া যায়। এতে আমাদের অনেক লাভ হয়।

 

 

আনন্দবাজার/ইউএসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন