ঢাকা | বুধবার
২৬শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১২ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে সরকারি ব্যয় ৪ হাজার ৮৬৯ কোটি টাকা

আবারও নকশা জটিলতায় দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প। এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নকশায়। এ প্রকল্পে  সরকারি ব্যয় ৪ হাজার ৮৬৯ কোটি টাকা। নতুন নকশার বিষয়ে বিস্তারিত না বললেও ‘ইঞ্জিনিয়ারিং সলিউশন’-এর কথা বলছেন সেতু কর্তৃপক্ষ ও রেলওয়ের কর্মকর্তারা।

বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত নির্মাণ করা হচ্ছে ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এক্সপ্রেসওয়ে। উড়াল সড়কটির বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে মোট ৩১টি র্যাম্প নামবে, যেগুলোর দৈর্ঘ্য আরো ২৭ কিলোমিটার। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে মূল প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। জমি অধিগ্রহণ, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনসহ আনুষঙ্গিক কাজ এগিয়ে নিতে আরেকটি প্রকল্পে (সাপোর্ট টু ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে) ৪ হাজার ৮৬৯ কোটি টাকা খরচ করছে সরকার।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে তিন ধাপে। প্রথম ধাপে বিমানবন্দর থেকে বনানী, দ্বিতীয় ধাপে বনানী থেকে মগবাজার ও শেষ ধাপে মগবাজার থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত নির্মাণ করা হবে এক্সপ্রেসওয়েটি। বর্তমানে বিমানবন্দর-মগবাজার অংশের নির্মাণকাজ চলছে ।

বনানী-মগবাজার অংশে ভূমি অধিগ্রহণ, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হয়েছে। তবে শেষ অংশটি নিয়ে একের পর এক জটিলতায় পড়ছে সেতু কর্তৃপক্ষ।

প্রয়োজনীয় সমীক্ষা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর কাজিমা করপোরেশন বলছে, কমলাপুর স্টেশন এলাকা দিয়ে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে গেলে বেশকিছু প্রকৌশল ও আর্থিক জটিলতা তৈরি হতে পারে। এমন অবস্থায় বিষয়টি নিয়ে কাজিমা করপোরেশন সেতু কর্তৃপক্ষ ও রেলওয়েকে একটি যৌথ সমীক্ষা পরিচালনার প্রস্তাব দিয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বারবার নকশায় পরিবর্তন হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। পরিবর্তিত নকশা তাদের রাজস্ব আয় পরিকল্পনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়ে উঠতে পারে। প্রকল্পটিতে বিনিয়োগ করছে ইতালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি (ইতাল-থাই), চায়না শেনডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কোম্পানি গ্রুপ লিমিটেড ও সিনো হাইড্রো করপোরেশন। আগামী বছর প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে ২৫ শতাংশের মতো।

আনন্দবাজার/ইউএসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন