দীর্ঘ ছয় মাস ধরে দেশের বাজারগুলোতে মসলা জাতীয় পণ্য পেঁয়াজের দাম নিয়ে চলছে হৈ হুল্লুর। এ অস্থিরতা কাটতে না কাটতেই বেড়েছে অন্যান্য মসলার দামও। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে এলাচ, জায়ফল, জিরা, দারুচিনির, আদা,ও রসুনের দাম।
আজ রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর টাউনহল বাজার, রায়ের বাজার, কৃষি মাকের্টসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
এক মাসের ব্যবধানে রাজধানীর খুচরা বাজারে দুই দফায় এলাচের দাম বেড়েছে। বাজারে প্রতিকেজি এলাচ ৩ থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, মিডিয়াম ২৮০০ থেকে ২৯০০ টাকা কেজি দরে। অথচ দুই সপ্তাহ আগেও এলাচ বিক্রি হয়েছে ২৭০০ থেকে ২৮০০ টাকায়, মাঝারি ২৬০০ টাকা কেজি দরে।
৩০০ টাকা বেড়ে জায়ফল বিক্রি হচ্ছে ২৭০০ থেকে ২৮০০ টাকায়, ২০০ থেকে ২৫০ টাকা বেড়ে লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১০০০ টাকায়।
কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে গোল মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়, প্রতিকেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে ৪০০ থেকে ৪২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে জিরা, ৫০ টাকা বেড়ে দারুচিনি ৫০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। বেড়েছে খোলা হলুদ ও মরিচ গুড়ার দাম।
অন্যদিকে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে দেশি রসুন ১৭০ টাকা, মাঝারি ১৬০ টাকা, ইন্ডিয়ান ১৬০ টাকা, দেশি আদা ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, চায়না আদা ১৫০ টাকা কেজিদরে বিক্রি করতে দেখা যায়।
বিক্রেতারা বলছেন, মসলার নতুন আমদানি না থাকায় মোকামগুলোতে বাড়তি দাম হয়েছে। মসলা সরবরাহ বাড়লে দাম আবার কমে যাবে বলেও জানিয়েছেন তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্রেতা বলেন, মনে হচ্ছে পুরো দেশ-ই যেন ব্যবসায়ীর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। তারা নিত্যপণ্যে দাম নির্ধারণ করে দেয়, সংশ্লিষ্টদের বাজার তদারকি নেই।
‘পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক না, এর মাঝে এক মাসে দুই বার দাম বেড়েছে এলাচের, দারুচিনিসহ অন্যান্য মসলার। পেঁয়াজের দোহাই দিয়ে ব্যবসায়ীরা এবার অন্য মসলার দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।’
রায়ের বাজারের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম জানান, পাইকারি বাজারে সব মসলার দাম বেশি। কোরবানির পর পাইকারি বাজারে মসলার চালান না আসায় দাম বেশি। তবে মসলার আমদানি হলে দাম কমে যাবে।
অন্যদিকে চাল, ডালসহ অন্যান্য পণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। বাজার ভেদে তা ১০-২০ টাকা কম বেশিতে বিক্রি হচ্ছে মুরগি, মাছসহ নানা জাতের মৌসুমী সবজির।
আনন্দবাজার/ইউএসএস