সরকার আমন ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু সঙ্গে সঙ্গে বগুড়ার বাজারে ধানের দাম কমতে শুরু করেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে মণ প্রতি কমেছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। যার জন্য কৃষকদের প্রতি বিঘা জমিতে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা লোকসান গুণতে হচ্ছে। অন্যদিকে বর্গাচাষীদের প্রতি বিঘাতে ক্ষতি হচ্ছে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা।
ধানের দাম নিম্নমুখী হওয়ার জন্য মিলারদের দায়ি করছেন কৃষকরা। তারা জানায়, মিলাররা ধান না কেনায় প্রকৃত দাম পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, চাল সংগ্রহ শুরু হলেই ধানের দাম বাড়বে।
বগুড়ার সর্ববৃহৎ ধানের মোকাম নন্দীগ্রাম উপজেলা সদর, রণবাঘা, কুন্দারহাট ও ওমরপুর হাটে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এলাকায় বিআর-৪৯ জাতের ধান সবচেয়ে বেশি চাষ হয়। এ ধান প্রতিমণ ৭২০ টাকা থেকে ৭৩০ টাকা, বিআর-৩৪ জাতের ধান ১৩০০-১৪০০ টাকা ও পুরনো মিনিকেট এক হাজার থেকে এক হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হয়। কিন্তু গত সপ্তাহে প্রতি মণ ধানের দাম ৫০ থেকে ১০০ টাকা কমে গেছে।
নন্দীগ্রামের কৃষক মাসুদ রানা বলেন, এ বছর নিজেদের ১৮ বিঘা জমিতে বিআর-৪৯ জাতের আমন ধান চাষ করেছি। এবার ফলন কম হওয়ায় বিঘা প্রতি সর্বোচ্চ ১৫ মণ ধান পেয়েছি। ধানের বাজার নিম্নমুখী হওয়ায় বিঘায় প্রতি ৫-৬ হাজার টাকা লোকসান হচ্ছে। এছাড়াও বর্গচাষীদের প্রতি বিঘায় ৭-৮ হাজার টাকা ক্ষতি হচ্ছে।
তিনি বলেন, মিলাররা ধান না নেওয়ায় বেপারিরা কিনছেন না। আবার খাদ্য বিভাগ লটারি করে কৃষকের কাছ থেকে ধান নেওয়ায় অনেক কৃষক ধান বিক্রি করতে পারছেন না। অন্যদিকে লটারিতে সুযোগ পাওয়া অনেক কৃষক তাদের কার্ড বিক্রি করে দিয়েছেন। এসব মিলিয়ে তারা লোকসান গুণছেন।
নাদুরপুকুর গ্রামের কৃষক গোলাম রব্বানী জানান, ধানের দাম কমে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বর্গাচাষীরা। ধানের দাম না বাড়লে তাদের মেরুদন্ড ভেঙে যাবে। তারা আগামীতে ধান চাষ কমিয়ে দিবেন।
গুড়া সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনিরুল হক জানান, চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হলে বাজারে ধানের দাম বাড়তে শুরু করবে।
আনন্দবাজার/এম.কে