মঙ্গলবার, ১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ ১৪ই ডিসেম্বর ঢাকার মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে সকাল ৭টার দিকে রাষ্ট্রপতি প্রথমে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এ সময় বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গার্ড অব অনার প্রদান করে তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা জানানো শেষ হবার পর সর্বস্তরের মানুষ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। ফুল হাতে শ্রদ্ধা জানান শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যরাও। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ছাড়াও রাজধানীর স্কুল-কলেজে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান।

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর সদস্যরা তাদের স্থানীয় দোসর আলবদর, রাজাকার, আলশামস-এর সহায়তায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, শিল্পী, প্রকৌশলী ও লেখকসহ দুই শতাধিক বুদ্ধিজীবীকে ধরে নিয়ে যায় এবং মিরপুর, মোহাম্মদপুর, নাখালপাড়া, রাজারবাগসহ বিভিন্নস্থানে নির্যাতন কেন্দ্রে নির্যাতন করে হত্যা করে। এর মধ্যে রায়েরবাজার ও মিরপুর ছিলো উল্লেখযোগ্য।

১৪ ডিসেম্বর বাঙালির ইতিহাসে একটি কলঙ্কের দিন। দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হারানোর দিন আজ। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর সদস্যরা তাদের স্থানীয় দোসর আলবদর, রাজাকার, আলশামস-এর সহায়তায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, শিল্পী, প্রকৌশলী ও লেখকসহ দুই শতাধিক বুদ্ধিজীবীকে ধরে নিয়ে যায় এবং মিরপুর, মোহাম্মদপুর, নাখালপাড়া, রাজারবাগসহ বিভিন্নস্থানে নির্যাতন কেন্দ্রে নির্যাতন করে হত্যা করে।

আরও পড়ুনঃ  প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশস্থলে বোমা রাখার ঘটনায় ১৪ আসামির মৃত্যুদণ্ড

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

আনন্দবাজার/শাহী

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন