ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে পেঁয়াজের ঝাঁজে

পেঁয়াজ এখন উচ্চবিলাষী একটি পণ্য। এতদিন দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ে আলোচনা – সমালোচনা, মিটিং – মিছিল, সমাবেশ ও ব্যবসায়ীদের জিজ্ঞাসাবাদের পর পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে মসলা জাতীয় এ পণ্যটির।

পেঁয়াজের পাশাপাশি স্বস্তি আসতে শুরু করেছে সবজিতেও। টমেটো, গাজর, শিমসহ বেশকিছু সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কমেছে।

আজ শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউনহল বাজার, রায়ের বাজার, ও কৃষি মাকের্ট ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, এসব বাজারে আমদানি করা মিয়ানমারের পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৫০ টাকা কমে এখন ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম কমেছে মিশর ও চীনা পেঁয়াজেরও। সপ্তাহের ব্যবধানে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কমে চীনা পেঁয়াজ বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে। অন্যদিকে ২০ টাকা কমে মিশরের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে।

দাম কমেছে কলিসহ দেশি পেঁয়াজ ও নতুন দেশি পেঁয়াজের। কেজিপ্রতি ৩০ টাকা কমে কলিসহ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে। অন্যদিকে দেশি নতুন পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ২০ টাকা কমে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়।

তবে বাজারে দেশি পেঁয়াজ আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। এখনও দেশি পেঁয়াজের দাম ২৪০ টাকায় রয়ে গেছে।

টাউনহল বাজারের ব্যবসায়ী শওকত ওসমান বলেন, ‘বাজারে এখন সব ধরনের পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। আমদানি করা পেঁয়াজের পাশাপাশি নতুন পেঁয়াজ বাজারে এসেছে। পেঁয়াজের দাম কমেছে, কিছুদিনের মধ্যে আরও কমবে।’

লালমাটিয়ার বাসিন্দা রাইসা বেগম বলেন, এখন ১০০ টাকায় এক কেজি পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে এটি অকল্পনীয় ছিল। যাই হোক পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকায় আসায় কিছুটা হলেও স্বস্তি পাচ্ছি। তবে পেঁয়াজের দাম আরও কমা উচিত’।

পেঁয়াজের দাম কমায় ক্রেতাদের মাঝে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে। এদিকে শীতের শাক-সবজি ফুলকপি, পাতাকপি, মুলা, শালগম, শিম, পালং শাক, মুলার শাক, সরিষা শাকের সরবরাহ বাড়ায় বেশিরভাগ সবজির দামও কমতে শুরু করেছে।

 

 

আনন্দবাজার/ইউএসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন