সরকারকে শুল্ককর ফাঁকি দিতে পোশাকশিল্পের কাঁচামালের নামে মিথ্য ঘোষণায় পণ্য আমদানির হিড়িক পড়ে গেছে। গত ছয় মাসে শুধু চট্টগ্রাম বন্দর দিয়েই এ রকম ১০০ চালান আটক করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। ধরা পড়ার পর পোশাক মালিকরা প্রযোজ্য শুল্ককর দিয়ে এসব পণ্য খালাস করে নিয়েছেন। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানায়, যদি এসব চালান ধরা না পড়তো তবে সরকার অন্তত ৬০ কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হতো। এনবিআরে পাঠানো চট্টগ্রাম কাস্টমসের তৈরি একটি প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সম্প্রতি পোশাক খাতের পণ্য আমদানি ও রপ্তানিকে গতিশীল করার জন্য পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ এবং চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্মকর্তাদের একটি গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি আবদুস সালাম জানান, ‘পোশাক খাতের পণ্য খালাসে বিলম্ব হওয়ায় অনেক সময় আমাদের পণ্য জাহাজীকরণের নির্ধারিত সময় পার হয়ে যেত। কোনো কোনো সময় তা ২৮ দিনেরও বেশি সময় লাগত। যার ফলে উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হতেন।’
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, পোশাকশিল্পের নামে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি ও তা খোলাবাজারে বিক্রয় বন্ধে কাস্টমসকে সহায়তা করবেন বিজিএমইএ। সভায় বিজিএমইএ নেতারা আশ্বস্ত করে জানান, যেসব প্রতিষ্ঠান বন্ড সুবিধার অপব্যবহার করে রাজস্ব ফাঁকির সঙ্গে জড়িত তাঁদের সদস্যপদ বাতিলসহ আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
বিজিএমইএ নেতারা আরো জানান, পোশাক খাতে বন্ডারের বন্ড সমস্যা সমাধানে আরো সময় প্রয়োজন। এছাড়া বাংলাদেশ কাস্টমস ট্যারিফ অনুসারে অনেক বন্ডারের বন্ড লাইসেন্স সমস্যার সমাধান করতে হবে এবং এই কাজটি সংশ্লিষ্ট বন্ড কমিশনারকে করতে হবে।
কাস্টমস কর্মকর্তরা জানান, বন্ড জটিলতা বড় পর্যায়ে গেলে অনেক সময় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত ছাড়া পণ্য ছাড় করা যায় না। সে জন্য সময় কিছুটা বেশী লাগে।
আনন্দবাজার/শাহী