কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
কক্সবাজারে বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকতের পাশাপাশি পাহাড়, নদী ও মেরিন ড্রাইভের অপার সৌন্দর্য উপভোগে ছুটে আসেন পর্যটকরা। ঈদের ছুটিতে পর্যটকের এ সংখ্যা বেড়েছে কয়েক গুণ। কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে দুই লাখ পর্যটক উৎসব-উল্লাসে মেতেছে এমনটাই মনে করেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
সমুদ্রসৈকত ছাড়াও এখানে রয়েছে মেরিন ড্রাইভ, হিমছড়ি ঝরনা, ইনানী ও পাটুয়ারটেকের পাথুরে সৈকত, শহরের অজ্ঞমেধা ক্যাং ও বার্মিজ মার্কেট, মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির, ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক এবং রামুর বৌদ্ধ মন্দিরসহ নানা পর্যটন কেন্দ্রে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। সরেজমিন বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। তবে এতও সংখ্যক পর্যটক থাকলেও হতাশার সুর ব্যবসায়ীদের। তারা বলছেন, কক্সবাজারে লাখো পর্যটকের আগমন ঘটলেও তেমন ব্যবসা বাণিজ্য হচ্ছে না।
হোটেল ব্যবসায়ী আল আমিন বলছেন, পর্যটকদের সবাই তাদের অতিথি নন। কেউ আশপাশের, কেউ দিনে এসে দিনে চলে যান। তবে দূর থেকে যারা কক্সবাজার এসে হোটেলে থাকছে এ সংখ্যাটা নিয়ে তারা খুশি।
হোটেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তাল মেলালেন পর্যটন ভিত্তিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। তারাও বলছেন, পর্যটক প্রচুর, তবে বেচা-বিক্রি কম।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, হোটেলে থাকুক বা না থাকুক অথবা ব্যবসায় হতাশা থাকলেও লাখো পর্যটককে সামাল দিতে হচ্ছে পুলিশকে। এতে নিরাপত্তা জোরদার রেখেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
স্থানীয় সচেতন মহলের সাথে কথা বলে জানা যায়, করোনার পর এবারের ঈদের লম্বা ছুটিতে সৈকতে প্রচুর পর্যটক ছিল। তাদের নিরাপত্তায় ছিল কঠোর নজরদারি। তবে করোনার কারণে স্থানীয়রা সৈকতে আসতে পারেনি তাই তাদের উপস্থিতি অনেক বেশি। সে কারণে কক্সবাজার পর্যটক বেশি হলেও ব্যবসা ভলো হয়নি; কারণ অর্ধেক ছিল স্থানীয় পর্যটক।




