মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী কেউ রক্ষা পাবে না। যেকোনো হত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে। জঙ্গি, সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী, হত্যাকারী, দুর্নীতিবাজ যতবড় শক্তিশালী হোক, কেউ ছাড় পাবে না বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার প্যান প্যাসেফিক হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘বিশ্ব মানবাধিকার দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাসিমা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
বাংলাদেশের মানুষের মানবাধিকার রক্ষার জন্য সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, অনেক হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার হচ্ছে। এখন মানুষ বিচার পাচ্ছে। কিন্তু ৭৫-এর পর আমার বিচার চাওয়ার অধিকার ছিল না। তিনি বলেন, যুদ্ধ করে যারা দেশ স্বাধীন করেছে, খুনিরা তাদেরকেই হত্যা করেছে। তাদের মধ্যে কোনো মানবাধিকার ছিল না।
এরপর প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, দেশের তরুণরা মানুষের মানবাধিকার রক্ষা করবে। যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করবে তরুণরা তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মানবাধিকারের ওপর থিম সং পরিবেশন করা হয়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে মানবাধিকারের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
জাতিসংঘ ১৯৫০ সালে ১০ ডিসেম্বরকে ‘মানবাধিকার দিবস’ ঘোষণা করে। সেই থেকে প্রতি বছর ১০ ডিসেম্বর ‘মানবাধিকার দিবস’ পালিত হয়ে আসছে। মানবাধিকার দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘মানবাধিকার সুরক্ষায় তারুণ্যের অভিযাত্রা’।
আনন্দবাজার/ইউএসএস