ঢাকা | বুধবার
১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবৈধ ইটভাটায় পরিবেশ দূষণ

অবৈধ ইটভাটায় পরিবেশ দূষণ

পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা কিংবা উপজেলা প্রশাসন, সবার নীরবতা ও নিশক্রিয়তার মুখে শেষ পর্যন্ত দিনাজপুরের পার্বতীপুরে চালু হয়েছে পরিবেশ বিধ্বংসী আরও একটি ইটভাটা। এনিয়ে পার্বতীপুর উপজেলায় অবৈধ ইটভাটার সংখ্যা অর্ধশত পেরিয়ে গেল। নতুন করে চালু হওয়ার ইটভাটার নির্গত কালো ধোয়া ইতিমধ্যে বায়ু দুষণ ছড়াতে শুরু করেছে। ফলে চরম হুমকির মুখে পড়েছে উপজেলার বেলাইচন্ডি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম গোপালগঞ্জ বাজারের সবুজ শ্যামল ধান ক্ষেত। ইটভাটার চারদিকে ঘিরে চার গ্রামের সহজ সরল, নিরীহ মানুষ চোখের সামনে দেখবে তাদের প্রিয় সবুজ-শ্যামল গ্রাম গোপালগঞ্জ পরিবেশ দুষণে হলুদ ও বিবর্ণ হয়ে গেছে।  

সরেজমিন ঘটনাস্থল উপজেলার বেলাইচন্ডি ইউনিয়নের গোপালগঞ্জ গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ইটভাটার ভাটার একদম কাছেই রয়েছে আজিজার সরকার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, মন্দির, গোপালগঞ্জ বাজার ও নেসামন নাজমা দারুলউলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা। অবৈধ এ ইটভাটার পশ্চিমে রয়েছে বারাইপাড়া ও বাঘাচড়া গ্রাম, উত্তরে খামারপাড়া, পূর্বদিকে রহমতনগর ও দক্ষিণে জেলেপাড়ার মত ঘন জনবসতি। এসব জনবসতি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশপাশ ঘিরে রয়েছে আবাদি জমি ও সবুজ বন-বাদাড়। এমন একটি জনপদে ইটভাটা নির্মাণ দেশের প্রচলিত আইন ও বিধি কোনভাবে সমর্থন করে না বলে সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের অভিমত। 

গত এক বছর আগে ২০২১ সালে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়াই যখন আলোচিত ওই ইটভাটা এডি ব্রিক্সের নির্মাণ কাজ শুরু করে এলাকার প্রভাবশালী দু’ব্যক্তি আব্বাস আলী ও দুলাল প্রামানিক। ঠিক ওই সময় ইটভাটা স্থাপনের সকল শর্ত ভঙ্গ করে তৈরী এ ইটভাটার প্রকৃতি ও পরিবেশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। তা সত্তে¦ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই সময় এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।     

এ বিষয়ে এডি ইটভাটা মালিক দুলাল প্রামানিক দাবি করেন- ইটভাটা স্থাপনের প্রয়োজনীয় অনুমোদন ও কাগজপত্র আমার আছে। তা নাহলে কি ইটভাটা চালু করা যায়। তিনি আরও বলেন, ১৫ দিনের মতো হবে এ ভাটাটি চালু করেছেন। 

পার্বতীপুরের অনুমোদন বিহীন আরও একটি ইটভাটা এডি ভাটা চালুর বিষয়ে জানতে চাইলে, দিনাজপুর পরিবেশ অধিপ্তরের সহকারি-পরিচালক এ. কে. এম ছামিউল আলম কুরসি বলেন- বিষয়টি আমরা অবগত আছি। খুব শিগগিরই এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। 

সংবাদটি শেয়ার করুন