- অস্থির মোংলার বাজার
- নেই তদারকি, বেপরোয়া সিন্ডিকেট
রমজানের আগের দিনেই দ্বিগুণ বেড়েছে বেগুন, শসা, খিরাই, কাঁচা মরিচের দাম। দুই তিনদিন আগে বেগুনের কেজি ছিলো ৩০ থেকে ৪০ টাকা। আর এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা দরে। ৩০ থেকে ৩৫ টাকার শসা, খিরাই বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। ৫০ টাকার কাঁচা মরিচ ও উচতা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। এছাড়া কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে অন্যান্য কাঁচামালের। গতকাল শনিবার সকালে মোংলার বাজার ঘুরে এমন তথ্য জানা যায়।
কাঁচামাল বিক্রেতা আ. জলিল ও রফিক বলেন, পাইকাররা দাম বাড়িয়েছেন তাই তারাও বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছেন। তবে মোংলা পৌর শহরের প্রধান বাজারে কাঁচামালের যথেষ্ট সরবরাহ রয়েছে। বাজারে মালের ঘাটতি নেই। সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগ, পাইকারদের সঙ্গে যোগসাজসে স্থানীয় সিন্ডিকেট চক্রই পণ্যের দাম বাড়িয়েছেন। এনিয়ে ক্ষোভ রয়েছে ক্রেতা সাধারণের। এসব নিয়ে অবশ্য মাথা ব্যথা নেই স্থানীয় প্রশাসনের। ক্রেতারা বলছেন, প্রশাসনের তদারকি না থাকায় সিন্ডিকেট চক্র বেপরোয়া।
উপজেলা বাজার নিয়ন্ত্রণ কমিটির সদস্য নুর আলম শেখ বলেন, দেশের সব জায়গায় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে। তার প্রভাব মোংলার বাজারেও। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়েনি তারপরও দ্রব্যমুলের উর্ধগতি অকল্পনীয়। এতে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। পৌর শহর ছাড়াও আশপাশের বাজারগুলোতে দাম কম। তবে সিন্ডিকেট চক্র প্রধান এ বাজারে দাম দ্বিগুণ বাড়িয়েছে। সিন্ডিকেট না ভাঙ্গলে কোনোভাবেই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। শহরের বাহিরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা সবজি চাষি ও ব্যবসায়ি গোলাম রসুল, জয়নাল ও মহাসিন আকন বলেন, মোংলা বাজারের পাঁচটি সমিতির (মাছ, মাংস, পান, মুরগী ও কাঁচা বাজার সমবায় সমিতি) সিন্ডিকেট চক্র এ বাজার নিয়ন্ত্রণ করছেন। তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে পৌর শহরের হাজার হাজার ক্রেতা সাধারণ। পাঁচ সমিতির সমন্বয়ে গঠিত নতুন এ সিন্ডিকেট চক্রের সভাপতি আফজাল ফরাজি, সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ওরফে কসাই নজরুল ও ক্যাশিয়ার আলম ওরফে আলু আলম।
সমিতির নেতা আফজাল ফরাজী বলেন, আমরা আমাদের স্বার্থে অর্থাৎ কোন ব্যবসায়ী যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য এক হয়েছি, ব্যবসায়ীক শক্র মোকাবেলা করতে, দাম বাড়ানোর জন্য নয়। যদি কেউ দাম বাড়ায় আমরা তার পক্ষে থাকবোনা। যারা দাম বাড়াবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে আমরা প্রশাসনের পক্ষে থাকবো বলে দাবী করেন তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে দুই একদিনের মধ্যে পুলিশ সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালানো হবে। এছাড়া প্রত্যেক দোকানে মূল্য তালিকা টানানো বাধ্যতামূলক করা হবে। আর সিন্ডিকেট চক্রও ভাঙ্গা হবে বলেও জানান তিনি।