কম খরচে লাভ বেশি পাওয়ায় রঙিন ফুলকপি চাষিদের আগ্রহ বাড়ছে। রাণীগোলাপ ও হলুদ রঙের এ ফুলকপি চাষ করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন নেত্রকোণার বারহাট্টার চাষি সন্তোষ বিশ্বাস। জৈব সারের ব্যবহারে এ ফুলকপির ফলনও ভালো হয়েছে।
জানা যায়, বারহাট্টা উপজেলার সদর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা সন্তোষ বিশ্বাস। চলতি বছর ২৫ শতাংশ জমিতে লাউ, ঢ়েঁড়শ, ফুলকপি, বেগুন, টমেটো, শিম, শষাসহ বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করেন। পাশাপাশি উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে রাণীগোলাপ ও হলুদ ফুলকপি চাষও শুরু করেন তিনি। নতুন ফুলকপি চাষে ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় খুশি কৃষক সন্তোষ বিশ্বাস। চাষি সন্তোষ বিশ্বাস বলেন, এতদি সাদা ফুলকপির চাষ করেছি। এই প্রথম রঙিন ফুলকপি চাষ করেছি। এর আগে কখনো এমন ফুলকপি দেখিনি। কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী অল্প কিছু জায়গায় চাষ করেছিলাম। ফলনও হয়েছে অনেক ভালো। উৎপাদন খরচও সাদা ফুলকপি সমান। তবে রঙিন হওয়ায় বাজারে এ ফুলকপির দাম দিগুণ। তিনি আরও বলেন, মজার ব্যাপার হলো রঙিন এসব ফুলকপি দেখতে প্রতিদিনই এলাকার কৃষকসহ সাধারণ মানুষ আমার জমিতে ভিড় করছেন। অনেকেই এ জাতীয় ফুলকপি চাষ করতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন এবং আমার কাছে পরামর্শ চাইছেন। বারহাট্টা উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ২শত বীজ এনে অন্যসব সবজির পাশাপাশি পরীক্ষামূলক ভাবে ২ শতাংশ জমিতে এই রঙিন ফুলকপি রোপণ করে এপর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার টাকার ফুলকপি বিক্রি করেছেন তিনি।
স্থানীয় কৃষক লতিবুর রহমান জানান, এই প্রথম সন্তোষ বিশ্বাসের জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষ দেখেছি। দেখতে খুব সুন্দর। বাজারে দামও বেশ ভালো। আগামী মৌসুমে রঙিন ফুলকপি চাষ করবো। আশাকরি কৃষি অফিস আমাকে সহযোগিতা করবেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাকিবুল হাসান জানান, রঙিন ফুলকপি ভিটামিন সি.ই.কে ফলিক অ্যাসিড, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজসহ বিভিন্ন ধরনের ক্যারোটেনেয়ড সমৃদ্ধ সবজি। এ সবজি ক্যান্সার প্রতিরোধ কাজ করে থাকে। রঙিন ধরণের শাকসবজির প্রতি কৃষক সন্তোষ বিশ্বাসের আগ্রহ অনেক বেশি। সেজন্য তিনি রাণীগোলাপী ও হলুদ ফুলকপি প্রথম চাষ করে অধিক লাভবান হয়েছেন। আমরা চাই সব কৃষকের মাঝে তথ্য-প্রযুক্তির নতুনত্ব পৌঁছে দিতে। সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। আশা করছি তার দেখাদেখি অন্যান্য কৃষকরাও এটা চাষ করতে আগ্রহী হবে। আমরাও বিভিন্ন ভাবে তাদের সাহায্য করে যাব।
এদিকে রঙিন ফুলকপির সৌন্দর্য দেখতে কৃষক সন্তোষ বিশ্বাসের জমিতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন স্থানীয় কৃষকসহ উৎসুক জনতা।