ঢাকা | মঙ্গলবার
৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২৩শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্টার্টআপে ‘শতবর্ষে শত আশা’

স্টার্টআপে ‘শতবর্ষে শত আশা’

বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে ‘শতবর্ষে শত আশা’ ক্যাম্পেইন চালু করেছে স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড। ক্যাম্পেইনের আওতায় গতকাল বুধবার দ্বিতীয় ধাপে স্টার্টআপদের বিনিয়োগ সহযোগিতা প্রদানে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আইসিটি বিভাগের স্টার্টআপ বাংলাদেশে লিমিটেড। আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি মিলনায়তনে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই উদ্যোগ দেশে একটি জাতীয় উদ্যোক্তা প্লাটফর্ম তৈরি করবে। নতুন নতুন উদ্ভাবন বাস্তবায়নে গতি সঞ্চালন করবে। এর ফলে সম্ভাবনাময় কোনো উদ্যোগই আর ঝরে পড়বে না। উদ্যোগ বাস্তবায়নের আর্থিক সঙ্কট ঘুচবে এবং নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।

এসময় প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশে এক দশকে স্টার্টআপ খাতে সাড়ে ৭০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে। দেশে বর্তমানে প্রায় ২২ হাজার ৫০০ স্টার্টআপ রয়েছে। সরকার স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড, বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ড (বিগ) এর আইডিয়া প্রকল্প মাধ্যমে স্টার্টআপগুলোকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তীকে স্মরনীয় করে রাখতে আইসিটি বিভাগ ‘শতবর্ষের শত আশা’ উদ্যোগ গ্রহণ করে। এ উদ্যোগের লক্ষ্য হচ্ছে ৫০টি স্টার্টআপে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ ও দেশে উদ্যোক্তা সংস্কৃতি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। এরই অংশ হিসেবে আজ দ্বিতীয় ধাপে ৮টি স্টার্টআপকে ১৭ কোটি টাকা মূলধন সহযোগিতা প্রদানের লক্ষে বিনিয়োগ চুক্তি হয়েছে।

জুনাইদ আহমদ পলক আরও জানান, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবেলায ৫৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত ল্যাব, ফোরথ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভোল্যুশন সেন্টার, ৪৯৪টি উপজেলায় জয় ডিজিটাল সার্ভিস সেন্টার, ৩০০ স্কুল অব ফিউচার, শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। তরুণ প্রজন্মের উদ্যোক্তারাই ভবিষ্যত একটি জ্ঞানভিত্তিক, অর্থনীতিক ও উদ্ভাবনী বাংলাদেশ গড়ে তুলবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বিনিয়োগকারী হিসেবে স্টার্টআপ বাংলাদেশ ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামী আহমেদ এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সিইও গণ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। প্রতিষ্ঠানসমূহ হচ্ছে হ্যালো টাস্ক, ১০ মিনিটস স্কুল, আই ফারমার, ফ্রন্টিয়ার নিউট্রেশন, লুপ, যান্ত্রিক, সাটেল এবং ট্রাক লাগবে। প্রথম ধাপে ৭টি স্টার্টআপকে ১৭ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক ড. মো. আব্দুল মান্নান, বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান, বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং এর সভাপতি ওয়াহিদ শরিফ, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর জনাব সামি আহমেদ।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন