করোনা মহামারির ধাক্কায় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যেতে অস্থিরতা চলছে। বাণিজ্যের প্রায় সব ক্ষেত্রেই আয়ের গতি বর্তমানে পিছিয়ে পড়েছে। অনেক ক্ষেত্রে এই আয়ের গতির চাকা উল্টো গতিতে আছে। এ কারনে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আহরণ সম্ভব হচ্ছে না। লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বর্তমান রাজস্ব আহরণ পরিমাণ কমানোর পরিকল্পনা চলছে। ওই পরিকল্পনা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আহরণ সবোর্চ্চ ৩০ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে নতুন সংশোধিত রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা করার বিষয়ে আলোচনা চলছে।
এনবিআর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এনবিআর আলাপ করে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। রাজস্বের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, চলতি অর্থবছর (জুন ২০২১ সাল থেকে জুলাই ২০২২ সাল পযর্ন্ত) রাজস্ব আহরণ লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এ থেকে কমিয়ে রাজস্ব আদায়ের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার পরিকল্পনা চলছে। লক্ষ্যমাত্রা কমানোর ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে শিগগিরই আলাপ হবে।
নতুন লক্ষ্যমাত্রা কমানোর ব্যাপারে তিনি বলেন, রাজস্ব আদায়ের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার পরিমান কতো হবে, সেটা আলোচনার মাধ্যমে সিন্ধান্ত নেয়া হবে। তবে এনবিআর থেকে সবোর্চ্চ ৩০ হাজার কোটি টাকা কমানোর প্রস্তাব করা হতে পারে।
এনবিআর সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) রাজস্ব আহরন লক্ষ্যমাত্রা ৪৬ শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ৫ মাসে বাকি রাজস্ব আহরন করতে হবে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) রাজস্ব আহরন ১ লাখ ৫৩ হাজার ৪৩৯ কোটি টাকা। রাজস্ব আহরণ প্রবৃদ্ধি ১৬ দশমিক ১২ শতাংশ।
গত সাত মাসে সবচেয়ে বেশি আহরণ ভ্যাট থেকে। এই খাতে রাজস্ব আহরণ ৫৭ হাজার ৯৭৩ কোটি টাকা। আমদানি খাতে আহরণ ৪৮ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা। একই সময়ে আয়কর ও ভ্রমণ খাতে আহরণ ৪৬ হাজার ৭৬৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে ভ্রমণ থেকে আহরণ ৩৪১ কোটি টাকা। বাকি অর্থ আহরণ আয়কর থেকে।
উল্লেখ্য, এনবিআর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন রেকর্ড নেই বললেই চলে। প্রতিবছরই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে রাজস্ব আহরণ পরিমাণ সংশোধন করে কমাতে হয়।
আনন্দবাজার/শহক