করোনা ক্ষতি কাটাতে ঋণ তহবিল গঠন
- নারী উদ্যোক্তাদের বিশেষ গুরুত্ব
- ঋণ বিতরণে জোর তদারকির নির্দেশ
- পাঁচ বছরের জন্য ৫০ লাখ টাকার ঋণ
করোনা মহামারির নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের অর্থনীতির ওপরে। ফলে প্রায় সব খাতেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ক্ষতিগ্রস্ত অভিবাসী শ্রমিক, বেকার যুবক এবং গ্রামীণ উদ্যোক্তাদের পরিচালিত কুটির ও ক্ষুদ্র উদ্যোগের (সিএমএসই) পাশে দাঁড়িয়েছে সরকার। সেজন্য সিএমএসইর উন্নয়নে এক হাজার ২৯০ কোটি টাকার ঋণ তহবিল গঠন করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সূত্র মতে, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে ‘দ্য সাপোর্টিং পোস্ট কোভিড স্মল স্কেল এমপ্লয়মেন্ট ক্রিয়েশন প্রজেক্ট (এসপিসিএসএসইসিপি)’ মূলত নারী উদ্যোক্তাদের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেবে। পাঁচ বছরের জন্য একক ঋণ গ্রহীতাকে সর্বাধিক ৫০ লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকগুলোর সিএমএসএমই খাতের ঋণ বিতরণ কম ছিল। তাই এই খাতে ঋণ বাড়াতে বৃহস্পতিবার সব ব্যাংকের এমডিদের নিয়ে বৈঠক করা হয়। বৈঠকে গভর্নর লক্ষ্যমাত্রা পূরণের নির্দেশ দেন।
ব্যাংকগুলো নিরাপত্তা জোরদার ওপরে জোর দিয়ে তিনি বলেন, এটিএম বুথে কীভাবে টাকা চুরি হয় এ বিষয়ে এক পেজেন্টেশন দিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। সেখানে ব্যাংকগুলো কীভাবে নিরাপত্তা জোরদার করবে সে বিষয়গুলো তুলে ধরেছে র্যাব।
দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে পুনঃঅর্থায়ন সুবিধার বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার অবহিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য যোগ্য ব্যাংকগুলোকে অংশগ্রহণ চুক্তিতে প্রবেশের পরামর্শ দিয়েছে তারা। সাড়ে তিন বছর মেয়াদী প্রকল্পটি ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত চলবে। বাংলাদেশ ব্যাংকে সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন গভর্নর ফজলে কবির। এসময় ডেপুটি গভর্নর ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের নির্বাহী পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে ৭ হাজার ১১৭ কোটি টাকার ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো। যা লক্ষ্যমাত্রার ৩৬ দশমিক ৮০ শতাংশ। গত বছর অর্থাৎ প্রণোদনার প্রথম ধাপে এই আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) লক্ষ্যমাত্রার ৭৭ শতাংশ বিতরণ সম্পন্ন হয়। প্রণোদনার দ্বিতীয় ধাপে ১৯ হাজার ৩৪০ কোটি টাকার ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। কিন্তু হাতে গোনা কয়েকটি ব্যাংক ছাড়া বাকিগুলোর বিতরণের হার ৪০ শতাংশের নিচে। এই ঋণ বিতরণ তদারকি জোরদার করতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।