করোনার মহামারীর কারণে দেশের ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ চাকরি হারানোর চরম ঝুঁকিতে রয়েছেন। বিশেষ করে, যারা অস্থায়ী কিংবা খণ্ডকালীন কর্মসংস্থানের সঙ্গে নিয়োজিত তারা এই ঝুঁকিতে বেশি পড়েছেন। ২০১৬-১৭ শ্রমশক্তি জরিপের উপাত্ত পর্যালোচনা করে এ প্রাক্কলন করা হয়েছে। তবে বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় নিলে কর্ম হারানোর ঝুঁকিতে থাকা নাগরিকের সংখ্যা আরও বাড়বে।
এসডিজি (টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট) বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন। সংগঠনের আহ্বায়ক ও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এ সংলাপে মূল প্রতিবেদন উপস্থান করেন।
চলমান করোনা পরিস্থিতিতে নারী, শিশু, বয়স্ক জনগোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী, আদিবাসী, প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত জনগোষ্ঠী, যুব সমাজসহ সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ নিয়ে সংলাপে আলোচনা হয়েছে।
সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান সংলাপে সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম।
ড. শামসুল আলম বলেন, করোনার আঘাত থেকে অর্থনীতির চাকা সচল করতে সরকার একটি স্বল্পমেয়াদি কার্যক্রম হাতে নেবে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাসহ সব উন্নয়ন কার্যক্রমেই সরকার দেশের ঝুঁকিতে থাকা সব নাগরিককে সহযোগিতার বিষয়টি যথাযথ বিবেচনায় নেবে। এসময় বক্তারা বলেন, দেশের পিছিয়ে পড়া ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে।
আর দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং নাগরিকদের কর্মসংস্থানসহ অর্থনৈতিক সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে এসডিজি কাঠামোকে অবলম্বন করে সরকারের অগ্রসর হওয়া প্রয়োজন।
বক্তাদের মতে, একটি বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করে পর্যায়ক্রমে পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে চলমান সংকট থেকে পুনরুদ্ধারের কার্যক্রম গ্রহণ জরুরি।
মহামারীর ফলে নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দেশের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় এসডিজি কাঠামোকে বিশেষভাবে সন্নিবদ্ধ করা প্রয়োজন। সংলাপে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, বরগুনা, সুনামগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উন্নয়ন কর্মী-বিশেষজ্ঞ, অর্থনীতিবিদ, গবেষক, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, যুব প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যম কর্মীরা অংশ নেন।
আনন্দবাজার/শহক