সম্প্রতি বার বার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে চীন ও ভারত। দফায় দফায় দুই দেশের সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় চলতি বছর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে দুই দেশের সম্পর্ক। গতকাল বুধবার এমন মন্তব্যই করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গালওয়ান ভ্যালির সংঘর্ষের ঘটনা সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে। চীনের প্রতি ভারতের স্বাভাবিক মনোভাব ও মানসিকতা বদলে গেছে এই ঘটনার পর থেকেই।
একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নিয়ে জয়শঙ্কর জানান, এই মুহূর্তে ভারত ও চীনের সম্পর্ক একটি বড় চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। গত ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এই প্রথম দু’দেশের সম্পর্ক নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে। ১৯৭৫ সালে সীমান্তে সংঘর্ষের পর এই প্রথম এত সমস্যা ও জটিলতা তৈরি হয়েছে।
জয়শঙ্করের দাবি, চীন মুখে বন্ধুত্বের কথা বললেও, শত্রুতা চালিয়েই যাচ্ছে। তারা দু’মুখো নীতিতে বিশ্বাসী। কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেটারও সঠিক ব্যাখ্যা চীন দিতে পারেনি। পাঁচবার পাঁচ রকম ব্যাখ্যা দিয়েছে বেইজিং। তবে এর কোনটাই বিশ্বাসযোগ্য নয়। কিন্তু যাই হোক না কেন, লাদাখে চীন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়েই অশান্তি সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, ভারত চীনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায়। তবে চীন তা হতে দিচ্ছে না। বারবার আঘাত করার মনোভাবে বিশ্বাসী চীন। ফলে এর প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ছে সীমান্তে। সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে একাধিক আলোচনা করার পরেও দু’দেশের সম্পর্কে স্থিতিশীলতা আসেনি। এজন্য তিনি বেইজিংকেই দায়ী করেছেন।
আনন্দবাজার/টি এস পি