আর্মেনিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনয়ানের পদত্যাগের দাবিতে দেশটিতে বিক্ষোভ চলছে। অন্তত ১০ হাজার আন্দোলনকারী প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ঘিরে বিক্ষোভ করেছে। এর আগে গত শনি ও রবিবার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে লাগাতার বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে আর্মেনিয়ার রাজধানীতে। খবর : ডয়েচে ভেলের।
এদিকে নিকোল পাশিনয়ান অবশ্য পদত্যাগের দাবি উড়িয়ে দিয়ে বলেন, আপাতত ক্ষমতা ছাড়ার প্রশ্নই ওঠে না।
সম্প্রতি নাগর্নো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া এবং তার প্রতিবাসী আজারবাইজানের মধ্যে প্রায় ছয় সপ্তাহ সংঘাত চলেছিল। সংঘাতের ফলে কারাবাখের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলো পুনর্দখল করে আজারবাইজান। যা কিনা গত তিন দশক আর্মেনীয় জনগোষ্ঠীর হাতে ছিল।
ছয় সপ্তাহের এ সংঘাতে প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষের নিহত হয়েছে। শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার হস্তক্ষেপে দুই দেশেল মধ্যে একটি চুক্তি হয়। ফলে নাগর্নো-কারাবাখের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল আজারবাইজানের হাতে চলে যায়।
এরপর থেকেই আর্মেনিয়ায় প্রধানন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। এ সময় বলা হয়, চুক্তিতে সই করে আর্মেনিয়া আপোস করেছে। এতে করে আজরবাইজানের লাভ এবং আর্মেনিয়ার ক্ষতি হয়েছে। যা প্রধানমন্ত্রী নিজেও সে কথা স্বীকার করেছেন।
আনন্দবাজার/এম.কে