সারা বিশ্বে চলছে এখন করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির প্রতিযোগিতা। সম্প্রতি আশার বানী শুনিয়েছেন ঐতিহ্যবাহী অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি।
ইতোমধ্যেই অক্সফোর্ডের আবিষ্কার করা করোনা ভ্যাকসিন মানুষের শরীরে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে কিন্তু ফলাফল এখনও পাওয়া যায়নি। তবে অক্সফোর্ড কর্তৃপক্ষ বলেছেন, তাদের এ ভ্যাকসিন বানরের শরীরে কার্যকর অ্যান্টিবডি তৈরিতে সক্ষম হয়েছে। এই সফলতার পর তারা এই ভ্যাকসিন নিয়ে আরও বেশি আশাবাদী হয়ে উঠেছেন।
গত এপ্রিলে থেকে প্রাণীর শরীরে এর কার্যক্রম নিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়। মাসের শেষের দিকে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা পরীক্ষা করতে শুরু করেন অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীরা।
জানা গেছে, ছয়টি বানরের শরীরে করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়। যার মধ্যে কয়েকটির শরীরে ১৪ দিনের মধ্যে কার্যকর অ্যান্টিবডি তৈরি এবং বাকি গুলোর বানরের শরীরে সর্বোচ্চ ২৮ দিনের মধ্যে করোনা প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।
এ ভ্যাকসিন মানবদেহে এমন একটি অ্যান্টিবডি তৈরি করবে যা সার্স এবং করোনার মতো প্রাণঘাতী ভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সহায়তা করবে। এটি মানুষের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়িয়ে ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আক্রান্ত রোগীকে সুস্থ হতে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
কিন্তু ভ্যাকসিনটির কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে বলেও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। পরীক্ষামূলক প্রয়োগের কিছুদিনের মধ্যে বেশ কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবী জ্বর, মাথাব্যথা এবং শরীরের অস্থি সংযোগে ব্যথায় আক্রান্ত হয়েছেন।
বানর, ইঁদুরের মতো প্রাণীর পর তিনটি ধাপে মানবদেহে এই ভ্যাকসিন পরীক্ষা করা হবে এবং জুনের মধ্যেই এসব পরীক্ষার ফলাফল মিলতে পারে বলে জানিয়েছেন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক জন বেল। এবং সেই সাথে আরও বলেন, প্রতিটি পরীক্ষা সফল্ভাবে শেষ হওয়ার পরেই ভ্যাকসিনের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হবে।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে