শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত বেড়ে ৬০

পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত বেড়ে ৬০

পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের পুলিশ স্টেশন, রেললাইন ও মহাসড়কে যানবাহনে একযোগে হামলা চালিয়েছে স্থানীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর সদস্যরা। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬০ জনেরও বেশিতে দাঁড়িয়েছে।

সোমবার (২৬ আগস্ট) দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

এ হামলার দায় স্বীকার করে ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপিকে ইমেইল বার্তা পাঠিয়েছে ওই অঞ্চলের সবচেয়ে সক্রিয় বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)।

বিএলএ দাবি করছে, নিহতরা সবাই বেসামরিক পোশাক পরা সামরিক বাহিনীর সদস্য ছিলেন। তাদের যোদ্ধারা সবাইকে চিহ্নিত করে হত্যা করেছে। যদিও এর কোনো প্রমাণ তারা দিতে পারেনি।

তবে দেশটির সেনাবাহিনী বলেছে, সন্ত্রাসীদের বৃহৎ হামলার পর সংঘর্ষে ১৪ সেনা ও পুলিশ এবং ২১ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। হামলার সময় বেলুচিস্তানের প্রধান মহাসড়কে বাস থেকে পণ্যবাহী যানবাহন লক্ষ্য করেও হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে যে ১২ সন্ত্রাসীর নিহতের তথ্য জানানো হয়েছে, তা সামরিক বাহিনীর প্রকাশিত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কি না তাৎক্ষণিকভাবে তা পরিষ্কার হওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় কমপক্ষে ২৩ যাত্রী নিহত হয়েছেন। এছাড়া ৩৫টি যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়েছে। দেশটির রেলওয়ে বিভাগের কর্মকর্তা মুহাম্মদ কাশিফ বলেছেন, বেলুচিস্তানের প্রাদেশিক রাজধানীর সঙ্গে পাকিস্তানের বাকি অংশকে যুক্তকারী একটি রেল সেতুতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সেই সঙ্গে প্রতিবেশি ইরানের সঙ্গে সংযোগকারী রেললাইনেও বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এসব ঘটনায় স্থগিত করা হয়েছে কোয়েটার সঙ্গে রেল চলাচল।

আরও পড়ুনঃ  ভার্চুয়াল বিতর্ক থেকে ট্রাম্পের প্রত্যাহার

পাকিস্তানের পুলিশ বলেছে, রেলওয়ে সেতুর যে স্থানে হামলা হয়েছে, সেখানে এখনো অন্তত ছয়জনের মরদেহ পড়ে রয়েছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, বেলুচিস্তানে পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যালয় লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।

নজিবুল্লাহ কাকার নামে মুসাখাইল জেলার এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, পাঞ্জাবকে বেলুচিস্তানের সঙ্গে সংযোগকারী একটি মহাসড়কে একের পর এক বাস, ভ্যান এবং ট্রাক থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। তারা প্রায় ২২টি গাড়ি থামিয়েছে। তিনি আরও বলেন, পাঞ্জাব থেকে আসা যানবাহনগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে এবং পাঞ্জাব থেকে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে গুলি করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত এপ্রিলে একই ধরনের হামলায় বেলুচিস্তানের নৌশকি শহরে বাস থেকে অপহরণ করার পর ১১ জন পাঞ্জাবি শ্রমিক নিহত হন। সূত্র: রয়টার্স, এএফপি

সংবাদটি শেয়ার করুন