ঢাকা | মঙ্গলবার
৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টুঙ্গিপাড়ার বর্ণি বাওড়ে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ

টুঙ্গিপাড়ার বর্ণি বাওড়ে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার বর্ণির বাওড়ে হয়ে গেলো আবহমান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা। টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বর্নি ইউনিয়ন বাসীর আয়োজনে এ বাইচের আয়োজন করা হয়। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখতে প্রতি বছর এই সময় এখানে এ নৌকা বাইচের আয়োজন করা হয়। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা বিভিন্ন বয়সের হাজার হাজার নারী-পরুষ, শিশু-কিশোর এ নৌকা বাইচ উপভোগ করে| বাইচ উপলক্ষে বাওড়ের দু’পাড়ে বসে গ্রামীণ মেলা।

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বর্নি ইউনিয়নবাসী প্রতি বছর ঐতিহ্যবাহী বর্ণি বাওড়ে দীর্ঘ বছর ধরে এ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে। চিত্ত বিনোদনের জন্য এ দিনটির অপেক্ষা করে থাকেন এ এলাকার মানুষসহ আশপাশের বহু গ্রামের মানুষ। উপভোগ করেন কাসির তালে তালে মাল্লাদের গাওয়া জারি সারি আর বৈঠার সলাৎ সলাৎ শব্দ।

এ নৌকা বাইচে গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামের বাছারী নৌকা অংশ নেয়। বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এ নৌকা বাইচ। বাওড়ের মধ্যে ছোট ছোট অসংখ্য নৌকায় বসে নানান বয়সী নারী পুরুষ উপভোগ করেন বাইচ।

এছাড়া বাওড়ের দুই পাড়ে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার মানুষও উপভোগ করেন এ দৃষ্টিনন্দন বাইচ। মেলা উপলক্ষে বাওড়ের দু’পাড়ে গ্রামীণ মেলা বসে। এ মেলায় মিষ্টি, চানাচুর, চটপটি. ফুসকাসহ বিভিন্ন ধরণের খাবার ও শিশুদের খেলনাসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের পসরা নিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা।

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এ নৌকা বাইচ বাঁচিয়ে রাখতে সবাই এগিয়ে আসবে এমনটাই প্রত্যাশা দর্শনার্থীদের। গোপালগঞ্জ শহের থেকে নৌকা বাইচ দেখতে আসা রেজয়ান আহম্মেদ ও সজিব বিশ্বাস জানান, আমাদের নানান ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে।গ্রামীন এসব ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

বর্নি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও এই নৌকা বাইচের আয়োজক খালিদ হোসেন জানান, আগামীতেও এ ঐতিহ্য ধরতে রাখতে নৌকা বাইচের আয়োজন করা হবে।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পারকুশলি গ্রামের মামা-ভাগ্নে নৌকা প্রথম, বর্নি গ্রামের স্বপ্নের তরী দ্বিতীয় ও জোয়ারিয়া গ্রামের জয়মা দূর্গা নৌকা তৃতীয় হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন