ঢাকা | বৃহস্পতিবার
২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হারিয়ে যাচ্ছে দাগনভূঞার ঐত্যিবাহী খাবার

হারিয়ে যাচ্ছে দাগনভূঞার ঐত্যিবাহী খাবার

ভোজনরসিক হিসেবে বিশ্বজুড়ে সুনাম রয়েছে বাঙালির। সুস্বাদু ও মুখরোচক হওয়ায় বিশ্বব্যাপী সমাদৃত গ্রাম-বাংলার খাবার। তেমনই ফেনীর দাগনভুঞা উপজেলার সুনামধন্য ও বিখ্যাত কিছু মুখরোচক খাবার যেমন কটকটি, বাতাসা, তিলের খাজা, চানাচুর, জিলাপি, বালুসা, খুরমা ও খাস্তা। কয়েক দশক আগেও গ্রামের হাট-বাজারে এসব খাবারের পসরা সাজিয়ে বসতেন ব্যবসায়ীরা। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার কাছেই প্রিয এসব মুখরোচক খাবার। তবে কালের বিবর্তনে পাল্টে গেছে গ্রাম-বাংলার চিরায়ত সৌন্দর্য। আধুনিকতার ছোঁয়ায় শৈশবের স্মৃতি থেকে মুছে যেতে বসেছে গ্রামের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে থাকা হাট-বাজার।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এখনো হারিয়ে এসব খাবারের চল অল্পমাত্রায় হলেও টিকে আছে। দূর-দূরান্ত থেকে মাছ, মাংস ও সবজি ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি হয়েছে এসব মুখরোচক খাবারের দোকান।

ব্যবসায়ী আবুল হোসেন মিয়া জানান, হাটে দুপুরের পর থেকে ক্রেতাদের ভিড় বেড়ে যায়। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী নিমকি, পুরি, পিয়াজু, বাতাসা, বালুসা, জাম, চানাচুর, খুরমা, খাস্তাা, কটকটি ও জিলাপিসহ বিভিন্ন মুখরোচক খাবার নিজ হাতে তৈরি করেন তারা। তারপর সেগুলো গ্রামের বিভিন্ন হাটে বিক্রি করেন।

বয়োবৃদ্ধ আবুল খায়ের বলেন, একটা সময় আমাদের বাবা-দাদারা নিজের হাতে তৈরি করতো এইসব খাবার। তখন আমারা খেলার মাঠ থেকে এসে সবাই মিলে খেতাম। এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে গেছে মজাদার এইসব খাবার।

সংবাদটি শেয়ার করুন