শুক্রবার, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বাচ্চা নেওয়ার জন্য কখনও অনুশোচনা করবো না: আলিয়া ভাট

বাচ্চা নেওয়ার জন্য কখনও অনুশোচনা করবো না আলিয়া ভাট

ক্যারিয়ারের চূড়ায় উঠে যেখানে নায়িকারা বাচ্চা নেওয়ার কথা ভাবতেই পারেন না, সেখানে সময়ের সেরা বলিউড স্টার আলিয়া ভাট মাত্র ২৯ বছর বয়সে মা হয়েছেন।

এক সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি আলিয়া জানান, জীবনে এত খুশি কোনোদিনই ছিলাম না। ক্যারিয়ারের থেকে বাচ্চা নেওয়ার সিদ্ধান্তে কখনোই অনুশোচনা করি না।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাকে বলতে শোনা গেল, মনের কথা শুনে তিনি সব কাজ করেন। তা সে সিনেমার কাজ হোক বা ব্যক্তিগত জীবন। জানান, জীবনে এত খুশি তিনি কোনোদিনই ছিলেন না। সঙ্গে নিশ্চিত করলেন ক্যারিয়ারের থেকে বাচ্চা নেওয়ার সিদ্ধান্তে তিনি কখনোই অনুশোচনা করেন না।

পাঁচ বছর প্রেমের পর ২০২২-এর ১৪ এপ্রিল বিয়ে করেন রণবীর আর আলিয়া। মুম্বাইয়ের বাড়ি বাস্তুতেই ছিল বিয়ের আসর। বিয়ের দুই মাসের মাথাতেই সন্তান আসার খবর দেন এই দম্পতি। নভেম্বরে জন্ম হয় রাহার। সন্তান প্রসবের খবর জানিয়ে নেটমাধ্যমে আবেগঘন পোস্ট করেন আলিয়া। সিংহ, সিংহী এবং শাবকের ছবির নীচে লেখা ছিল, ‘আমাদের জীবনের সেরা খবর। আমাদের সন্তান হয়েছে.. ও এক মায়াবী কন্যা। আমরা ভালোবাসায় পরিপূর্ণ- আশীর্বাদপ্রাপ্ত এবং আবেগময় পিতামাতা! আলিয়া এবং রণবীরের তরফে রইল অনেক অনেক ভালোবাসা।’

আলিয়া বলেন, আমি এমন একজন মানুষ যে সারাজীবন নিজের মনের কথা অনুসরণ করে এসেছি। যখন কেউ জীবনকে নিয়ে পরিকল্পনা করতে পারে না, তখন জীবন নিজের পরিকল্পনায় তাকে চালায়। তা সে সিনেমা হোক বা অন্য কিছু, মনের কথা শুনে সব সিদ্ধান্ত নিয়েছি বরাবর। হ্যাঁ ক্যারিয়ারের চূড়ায় উঠে আমি বিয়ে ও বাচ্চার সিদ্ধান্ত নেই। কে বলল বিয়ে আর বাচ্চা আমার জীবন বদলে দেবে? আর যদি সেটা হয়ও আমার কিছু যায় আসবে না। আমি এটুকু বলতে পারি, জীবনে কখনও বাচ্চা নেওয়ার জন্য অনুশোচনা আমি অন্তত করবো না। আমার নেওয়া সেরা সিদ্ধান্ত এটাই। এর থেকে খুশি আর পরিপূর্ণ বোধ করিনি কোনোদিন।

সময়ের সেরা বলিউড স্টার জানান, ‘মা হওয়ার প্রতিটা মুহূর্ত ভীষণ অর্থপূর্ণ। আর অভিনেতা হিসেবে আমার নিজের উপরে যথেষ্ট বিশ্বাস আছে। তুমি যদি কঠিন পরিশ্রম করো তাহলে তোমার কাছে কাজ আসবেই। আর যদি কাজ না আসে, তাহলে না আসবে। হতে পারে এটা আমার সময় না। আমি সত্যি এমন মানুষ নই যে, এটা নিয়ে খুব বেশি ভাববে। আমি আমার কাজকে গুরুত্ব দেই, সঙ্গে জীবনকেও গুরুত্ব দেই। এই দুটোর মধ্যে ব্যালেন্স নিয়ে চলতে চাই সারা জীবন। মনে যা আসবে তা করো।’ সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

আরও পড়ুনঃ  অপূর্বর জন্য জরুরি ‘এ পজিটিভ’ প্লাজমা প্রয়োজন

আনন্দবাজার/কআ

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন