শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্যরা নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) নীতিমালায় ত্রুতি রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। এ নিয়ে তারা ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন। কমিটির সদস্যরা দেশের আর্থসামাজিক ও ভৌগোলিক অবস্থানের প্রেক্ষাপটে নীতিমালা সংশোধনের সুপারিশ করেছেন।
অন্যদিকে তুলনামূলকভাবে বঞ্চিত এলাকার যোগ্য আরো কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে চলতি অর্থবছর এমপিওভুক্তির সুপারিশ করা হয়েছে। গতকাল সংসদ ভবনে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়েছে।
বৈঠকে জানানো হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে নতুন এমপিওভুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের অতিরিক্ত বরাদ্দ দিয়ে আরো কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির সুযোগ রয়েছে। অন্যদিকে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য চলতি অর্থবছর অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজনীয়তার কথা কমিটিকে জানানো হয়েছে।
সংসদীয় কমিটির সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, এমপিওভুক্তি নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। দেশের আর্থসামাজিক ও ভৌগোলিক প্রেক্ষাপটে নীতিমালাটি সঠিক নয় বলে আমাদের কাছে মনে হয়েছে। কারণ একটি দরিদ্র ও উন্নত এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ও পাসের হার একই ধরনের হওয়ার সম্ভাবনা কম। এজন্য আমরা এ নীতিমালা পর্যালোচনা করতে বলেছি।
তিনি বলেন, যেসব এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তুলনামূলকভাবে এমপিও বঞ্চিত হয়েছে, আমরা সেখানকার যোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলোয় নতুন করে এমপিওভুক্তির জন্য বলেছি। বলতে পারেন এক প্রকার চাপ দিয়েছি।
অন্যদিকে এমপিওভুক্ত নীতিমালা পর্যালোচনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক করে ১০ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে কমিটিকে জানানো হয়েছে।
বৈঠকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির লক্ষ্যে ২০১৯-২০ অর্থবছরে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগকে অর্থ মন্ত্রণালয় ৮৬৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এ পর্যন্ত ১ হাজার ৬৫৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। এ বাবদ বার্ষিক ব্যয় হবে ৪৫৬ কোটি ৩২ লাখ ১৮ হাজার টাকা। এরপর আরো প্রায় ৪০৮ কোটি ৬৭ লাখ ৮১ হাজার টাকা অবশিষ্ট থাকবে। এ অর্থ দিয়ে সংশোধিত নীতিমালার আলোকে যাচাই-বাছাই করে চলতি অর্থবছর আরো কিছু যোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা সম্ভব হবে।
আনন্দবাজার/ইউএসএস