রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুয়েট বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ

অধ্যাপক ড. সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। সেই সাথে বিকেল ৪টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ শুক্রবার দুপুর ১২টায় সিন্ডিকেটের ৭৬তম সভা শেষে কুয়েটের ভিসি অধ্যাপক কাজী সাজ্জাত হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে বেলা ১১টায় খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে কুয়েট শাখা ছাত্রলীগ। এ সময় তদন্ত ছাড়া কাউকে বহিষ্কার না করার দাবি তুলেছে তারা।

এর আগে গত মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান কুয়েট শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. সেলিম হোসেন। কুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও লালন শাহ হলের প্রাধ্যক্ষ ছিলেন তিনি।

জানা গেছে, সম্প্রতি কুয়েটের লালন শাহ হলে ডিসেম্বর মাসের খাদ্য-ব্যবস্থাপক (ডাইনিং ম্যানেজার) নির্বাচন নিয়ে সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান প্যানেলের বিরুদ্ধে নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রভাবিত করার প্রচেষ্টার অভিযোগ ওঠে।

অভিযোগ উঠেছে, ওই প্যানেলের সদস্যরা তাদের মনোনীত প্রার্থীকে নির্বাচিত করার জন্য হল প্রভোস্ট ড. সেলিম হোসেনকে নিয়মিত হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাদমান নাহিয়ান সেজানের নেতৃত্বাধীন ছাত্রলীগের একটি ক্যাডার গ্রুপ ক্যাম্পাসের রাস্তা হতে ড. সেলিম হোসেনকে জেরা করা শুরু করে। তারপরে তারা শিক্ষককে অনুসরণ করে তার ব্যক্তিগত কক্ষে (তড়িৎ প্রকৌশল ভবন) প্রবেশ করে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, আনুমানিক আধঘণ্টা ওই শিক্ষকের সঙ্গে তারা রুদ্ধদার বৈঠক করে। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ও অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।

আরও পড়ুনঃ  অর্থপাচারকারী ১০ জনের স্ত্রীরাও সন্দেহের তালিকায়

এরপরে দুপুরে খাবারের উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাস সংলগ্ন বাসায় যান শিক্ষক ড. সেলিম হোসেন। এরপর দুপুর ২টা ৩০ মিনিটের দিকে তার স্ত্রী লক্ষ্য করেন তিনি বাথরুম থেকে বের হচ্ছেন না। দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ছাত্রদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ড. সেলিম একজন অত্যন্ত সজ্জন, সৎ ও মেধাবী শিক্ষক। তার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে ছাত্রবান্ধব হিসেবে। তিনি দেশের বাইরে থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করে ২০২০ সালে অধ্যাপক পদোন্নতি পান।

আনন্দবাজার/ টি এস পি

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন