ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অনলাইনে মাধ্যমিকে ভর্তির আবেদন শুরু আজ

সারাদেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু হচ্ছে আজ। আজ বৃহস্পতিবার থেকে আগামী ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই আবেদন করা যাবে। এবারের ভর্তি আবেদন ফি ১১০ টাকা ধরা হয়েছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) জানিয়েছে, এবার প্রথম সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশাপাশি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতেও অনলাইনে আবেদন এবং কেন্দ্রীয় লটারি অনুষ্ঠিত হবে। সরকারি মাধ্যমিকে আগামী ১৫ ডিসেম্বর এবং বেসরকারিতে ১৯ ডিসেম্বর লটারি অনুষ্ঠিত হবে।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের সব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২২ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। ভর্তির ক্ষেত্রে বিদ্যালয় থেকে কোনো ভর্তি ফরম বিতরণ করা হবে না।

আজ ২৫ নভেম্বর বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে ৮ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ প্রক্রিয়া। ২০২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১১০ টাকা, যা শুধুমাত্র টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইল ফোন থেকে এসএমএসের মাধ্যমে দেওয়া যাবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগরীর ৪৪টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় (তিনটি ফিডার শাখাসহ) তিনটি ভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত থাকবে। আবেদনের সময় একজন প্রার্থী একই গ্রুপে পছন্দের ক্রমানুসারে সর্বাধিক পাঁচটি বিদ্যালয় নির্বাচন করতে পারবে। এছাড়া সারা দেশে আবেদনকারীরা আবেদনের সময় প্রতিষ্ঠান নির্বাচনকালে থানাভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা পাবে। এক্ষেত্রে প্রার্থীরা প্রাপ্যতার ভিত্তিতে প্রতিটি আবেদনে সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয় পছন্দের ক্রমানুসারে নির্বাচন করতে পারবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ডাবল শিফটের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উভয় শিফট পছন্দ করলে দুটি পছন্দক্রম সম্পন্ন হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। একই পছন্দক্রমের বিদ্যালয় কিংবা শিফট দ্বিতীয় বার পছন্দ করা যাবে না। ২০২২ শিক্ষাবর্ষে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠেয় ডিজিটাল লটারি কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের বাইরের প্রতিষ্ঠানগুলোকেও স্ব স্ব ভর্তি কমিটির মাধ্যমে লটারি প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থী নির্বাচন করতে হবে। শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে স্ব স্ব ভর্তি কমিটির উপস্থিতিতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া নিষ্পন্ন করা ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে, যেমন পরীক্ষা নিয়ে, শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না।

এছাড়া, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক/শিক্ষিকা/কর্মচারীদের ভর্তির উপযুক্ত সন্তান সংখ্যার সমসংখ্যক আসন ওই প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষিত থাকবে। এক্ষেত্রে তাদের অনলাইনে আবেদনের প্রয়োজন নেই।

শিক্ষক/শিক্ষিকা/কর্মচারী যদি সরকারি মাধ্যমিক বালক বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকে এবং তার ভর্তি উপযুক্ত সন্তান বালিকা হয় তবে পার্শ্ববর্তী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে। একইভাবে যদি শিক্ষক/শিক্ষিকা/কর্মচারী সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকে এবং তার ভর্তি উপযুক্ত সন্তান বালক হয় তাহলে পার্শ্ববর্তী সরকারি বালক বিদ্যালয়ে আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে। অর্থাৎ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক/শিক্ষিকাদের সন্তান ভর্তির যে ২% কোটা নীতিমালায় সংরক্ষিত ছিল তা তুলে দেওয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার/ টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন