ঢাকা | মঙ্গলবার
২২শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৯ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়াসহ বশেমুরবিপ্রবি ছাত্র ইউনিয়নের ৫ দফা দাবি

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া সহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়ন, বশেমুরবিপ্রবি সংসদ।

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন বশেমুরবিপ্রবি সংসদের বার্তা প্রেরক পিউলি মৃধা (প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক) লিখিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ সময় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বশেমুরবিপ্রবি সংসদের সভাপতি রথীন্দ্র নাথ বাপ্পী ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল মিলন যৌথ বিবৃতিতে বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষার্থীরা বাসার মধ্যে বন্দি থাকার ফলে তারা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাদের শিক্ষাজীবনের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যেরও অবনতি হচ্ছে। এমনকি এই মহামারীর ভেতর শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার হারও বেড়ে গিয়েছে। আমরা লক্ষ্য করেছি শিক্ষার্থীদের একটি বিরাট অংশ যাদের বিগত ১৫ মাসে শিক্ষাজীবন শেষ করে কর্মজীবনে প্রবেশ করার কথা তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই সকল শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাজীবন কিভাবে শেষ করবে এ বিষয়ে সরকারিভাবে সুনির্দিষ্ট কোনও দিকনির্দেশনা না থাকার ফলে তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে ক্যাম্পাস খুলে দেয়া এবং দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কমকর্তা-কর্মচারীদের ভ্যাক্সিনের আওতায় নিয়ে আসার কোন জোর উদ্যোগ আমরা লক্ষ্য করি নাই।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম কোনরকমে জোড়াতালি দিয়ে চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ডিভাইস, প্রয়োজনীয় ডাটা ও শক্তিশালী নেটওর্য়াক ব্যবস্থা না থাকার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৬০% শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারে নাই। যার ফলে শিক্ষার্থীদের মাঝে বৈষম্যের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া যেসব বিভাগের শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক জ্ঞানের প্রয়োজন তাদের অধিকাংশই ব্যবহারিক জ্ঞান ছাড়াই অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষাজীবন শেষ করছেন যা ভবিষ্যতে ঐ শিক্ষার্থীকে বিপদগ্রস্ত করবে । এর দায় সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনভাবেই এড়াতে পারে না।

৫ দফা দাবি জানিয়ে তারা আরও বলেন, স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে অতিদ্রুত ক্যাম্পাস খুলে দিতে হবে; দ্রুততম সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভ্যাক্সিনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে; বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়ন করতে হবে। শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের মানসিক সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতের লক্ষ্যে কনসাল্টেশন ব্যবস্থা করতে হবে; করোনাকালীন এক বছরের বেতন- ফি মওকুফ করতে হবে; দ্রুততম সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাফেটিরিয়া চালু করতে হবে।

প্রসঙ্গত, করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে গত ২০২০ সালের ১৮ মার্চ হতে দেশের সকল ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

আনন্দবাজার/শাহী/আকীক

সংবাদটি শেয়ার করুন