ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘আমি তোমাদের দেখে নেব’- শাবির চার শিক্ষার্থীকে কর্মচারীর হুমকি

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে উঠায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার এন্ড সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কর্মচারী রক্ষিত কুমার আচার্যের বিরুদ্ধে চার শিক্ষার্থীকে হুমকি প্রদান ও তাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১৫ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহণ প্রশাসক অধ্যাপক ড. মো. জহির বিন আলমের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী চার শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, গত সোমবার সকাল ৭ টা ৩০ মিনিটে ক্যাম্পাস থেকে ২ জন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গেইট থেকে ২ জন শিক্ষার্থী বাস চালকের অনুমতি নিয়ে তাদের গন্তব্য পৌঁছানোর জন্য বাসে উঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস যখন টিলাগড় আসে তখন সিএসই বিভাগের ঐ কর্মচারী বাসে উঠে চালক মোঃ হোসেন মিয়ার সাথে অসৌন্যমূলক আচরণ করতে শুরু করে। তখন শিক্ষার্থীরা কর্মচারী রক্ষিতকে বলে, বাস খালি থাকায় ও বাসে চলাচলের আবেদন প্রক্রিয়াধীন থাকায় এতে চালকের কোনো দোষ নেই। কিন্তু এ কথা শোনার পর ও তিনি বাস চালক ও শিক্ষার্থীদের সাথে অসৌজন্যমূলক ব্যবহার করেন এবং বাস চালককে বলেন, “আমাদের মান সম্মান আছে, আমাদের সাথে কেন তারা যাবে? তারা কেন আমাদের বাসে উঠবে? এদেরকে বাস থেকে নামিয়ে না দিলে আমি যাব না”।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, কথা বলার পর তুচ্ছ তাচ্ছিল্যভাবে নাম, বিভাগ জানতে চান এবং তাদেরকে হুমকি দেন কর্মচারী রক্ষিত কুমার আচার্য। এছাড়াও পরিবহন প্রশাসককে কল দিয়ে তাদেরকে দেখে নেওয়ার কথা বলেন।
এ নিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয় সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী মুজাহিদ জানান, ‘আমরা প্রয়োজন অনুসারে বাস ব্যবহার করছি। এ নিয়ে পরিবহণ প্রশাসকের নিকট দরখাস্ত দিয়েছি যা প্রক্রিয়াধীন। কিন্তু বাসে অনুমতি নিয়ে উঠার পরেও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সাথে এমন অশোভন আচরণ আশানুরূপ নয়। আশাকরি প্রশাসন অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
উক্ত বাস চালক হোসাইন মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘রক্ষিত দাদা ছাত্রদের সাথে এমন আচরণ করেছে তা ঠিক কিন্তু পরে আমি তাদের মিলিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছি।’
অভিযুক্ত রক্ষিত কুমার আচার্যের সাথে যোগাযোগ করা হলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘তাদের তো স্টাফ বসে উঠার নিয়ম নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে নিউজ করার কি দরকার? এসব নিউজে আনলে তো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে।’
এ সময় তার পদবি জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, যার থেকে আমার নাম্বার নিয়েছেন তাকেই জিজ্ঞাস করেন। আমাকে বিরক্ত করছেন কেন?’
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহণ প্রশাসক অধ্যাপক ড. জহীর বিন আলম জানান, গতদিন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। তবে অভিযোগের প্রেক্ষিতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান তিনি।
আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন