জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সীমিত পরিসরে স্বশরীওে ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। রবিবার (২৪ জানুয়ারি) মুঠোফোনে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আমাদের (জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) বিশ্ববিদ্যালয় খোলাই আছে। অন্যন্যা বিশ্ববিদ্যালয় যেই পারপাসে খুলতেছে সেই পারপাস আমাদের শেষ হয়ে গেছে। অন্যন্যা বিশ্ববিদ্যালয় অনার্স ও মাস্টার্সের শেষ সেমিস্টারের পরীক্ষা নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় গত ডিসেম্বর মাসের ২০ তারিখ থেকে ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। তাদের এপেয়ার্ড সার্টিফিকেটও দিয়ে দেয়া হয়েছে। আমরা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে এগিয়ে আছি। এখন আমরা খুলব ক্লাস নেওয়ার জন্য এবং পরীক্ষা নেওয়ার জন্য। সরকার যখন অনুমতি দিবে তখন আমরা দূরত্ব বজায় রেখে কিভাবে ক্লাস পরীক্ষা নেওয়া যায় তা আমরা ডিনদের নিয়ে আলোচনা করছি।
মীজানুর রহমান বলেন, আমাদের যে পরিসর, জায়গা ও পরিবহনে যেন মাত্রাতিরিক্ত ভিড়াভিড়ি না হয় তার জন্য আমরা ডিনদের নিয়ে রোটেশন করব। আমরা এমন করব সপ্তাহে পাঁঁদিন পাঁচ ইয়ার আসবে। শুরুতে আমরা এমন করব যেদিন ১ম বর্ষ আসবে সেদিন অন্য কোন বর্ষ আসবে না। এরপর যেদিন ২য় বর্ষ আসবে সেদিন আর অন্য কোন বর্ষের শিক্ষার্থীরা আসবে না। সেই প্রসেস আমরা ইতোমধ্যে ডিনদের নিয়ে আলোচনা করছি।
উপাচার্য বলেন, করোনার কারনে শিক্ষাজীবন যেটা বিধ্বস্ত হয়ে গেছে সেটার রিপেয়ার করতে আমাদের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে। যাদের অনলাইনে ক্লাস শেষ হয়ে গেছে তাদের কিছু রিফ্রেশমেন্ট ক্লাস, প্রাক্টিকাল ক্লাস ও পরিক্ষা নিতে হবে। সেই কাজগুলোর জন্য আমরা আলোচনা শুরু করে দিয়েছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মূলত কিভাবে পরিক্ষা নেওয়া যায় তার প্রাথমিক আলোচনা আমাদের চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হল খোলার বিষয়ে ড. মীজানুর রহমান বলেন, ছাত্রী হল আমাদের রেডি আছে। যখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে তার আগেই ছাত্রীদেও একসাথে তোলা হবে। সেখানে ছাত্রীরা কীভাবে উঠবে তার নীতিমালা আমাদের তৈরি করা আছে।
উল্লেখ্য, দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকায় গত ১৭ মার্চ সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ও বন্ধ ঘোষনা করা হয়। এরপর ৮ জুন থেকে সীমিত পরিসরে প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়।
আনন্দবাজার/শাহী/সাঈদ