কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ! এক প্রাণবন্ত চিরচেনা বাংলা প্রবাদ। এবার শিক্ষার্থীদের জীবনে পৌষ মাস আসলেও প্রাণহীন, আড্ডাবিহীন, শুকনো পাতায় ছেয়ে গেছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রিমা চত্বর ও হতাশার দেয়াল।
নেই শিক্ষার্থীর আনাগোনা, নেই আড্ডাবাজি, নেই ফলাফল হয়ার হিড়িক। অনেক দিন ধরেই পরিষ্কারও করা হয়নি চত্বরটি।তাই তো নোংরা হয়ে আছে চারিদিক।
করোনার জন্য গত ১০ মাস ধরে বন্ধ হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)।এরপর থেকেই জৌলুস হারিয়ে ফেলেছে চত্বরটি। তাই তো শিক্ষার্থীদের পদচারণায় হারিয়ে ফেলা জৌলুস ফিরে পেতে চায় চত্বরটি।
এক সড়ক দুর্ঘটনায় রিমা নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর তার স্মৃতিতে চত্বরটির নামকরণ করা হয়। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সবার মাঝে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে রিমা চত্বর।
বছরের শুরুর শীতে চত্বরটি মুখরিত থাকত নবীন-প্রবীণ শিক্ষার্থীদের আড্ডা-গল্প ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের জন্য অপেক্ষা বা বাস ধরতে না পারলে পরবর্তী বাস পর্যন্ত সময়টি সর্বাঙ্গসুন্দর করার জন্য এই চত্বরটি হচ্ছে আলাদীনের প্রদীপ।
রিমা চত্বরের পাশেই রয়েছে হতাশার দেয়াল। নামটা প্রথম শুনলে আপনিও একটু হতাশায় নিমজ্জিত হতে পারেন!প্রতিটি সেমিস্টারের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয় এই দেয়ালেই। কেউ ভালো, কেউ খারাপ আবার কেউ ভালোর মধ্যে খারাপ। তাই এই দেয়াল একযোগে সবার কাছে পরিচিত হতাশার দেয়াল।যে দেয়াল অন্যকে হতাশায় নিমজ্জিত করতো, সেই দেয়াল আজ নিজেই হতাশাগ্রস্ত।তবে হতাশা কাটিয়ে প্রাণ ফিরে পেতে চায় দেয়ালটি।
কবে খুলবে ক্যাম্পাস, কবে আসবে শিক্ষার্থী! তা ভেবেই দিন কেটে যাচ্ছে প্রাণহীন, আড্ডাবিহীন রিমা চত্বর ও হতাশার দেয়াল।
আনন্দবাজার/শাহী/আজিজুর