ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অফলাইনে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

অফলাইনে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) সকল সেমিস্টারের ক্লাস অনলাইনে হলেও শুধুমাত্র অষ্টম সেমিস্টার ও মাস্টার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা অফলাইনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গবি প্রশাসন। এতে ক্ষুব্ধ সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২১ জানুয়ারি ২০২১ইং তারিখ হতে অনুষ্ঠিতব্য সেমিষ্টার ফাইনাল পরীক্ষায় অনার্স ও মাস্টার্স শেষ সেমিষ্টারের শিক্ষার্থীদের স্বশরীরে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।”

এদিকে প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের পরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়ে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ সেমিষ্টারের শিক্ষার্থীরা। মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় বিষয়টি।

ভুক্তভোগী এমন এক শিক্ষার্থী বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের অষ্টম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী জুরানা জাহান দীপ্তি বলেন,’জানুয়ারি মাসে শীত আরও বাড়তে পারে সাথে করোনার প্রভাবও। আর এরকম পরিস্থিতিতে আমার মনে হয় সার্বিক বিষয় চিন্তা করে অনলাইন এক্সাম নিলেই ভালো হয়। প্রাকটিকাল আর ভাইভা স্বাস্থ্য বিধি মেনে ইউনিভার্সিটি তে নেওয়া যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন,’অনলাইনে ক্লাস করে সরাসরি এক্সাম দেওয়ার পক্ষে আমি না। আর এই করোনাকালীন সময় তো অবশ্যই এটা ঝুঁকিপূর্ণ।

আরও কথা হয় ফার্মেসি বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী পবিত্র কুমার শীলের সাথে। তিনি বলেন, আমরা এই সিদ্ধান্ত মানি না। এতে শতশত শিক্ষার্থী ফেল করবে, তাদের শিক্ষা জীবন পিছিয়ে যাবে। করোনার কারণে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী বাড়িতে। তাদের আবার মেসে এসে পরীক্ষা দিতে নানা জটিলতায় পড়তে হবে।

উল্লেখ্য, পুরো সেমিষ্টার জুড়ে শিক্ষা কার্যক্রম চলেছে অনলাইনে, স্বশরীরে হয়নি কোনো ব্যবহারিক ক্লাস, সিলেবাসের অনেক কিছুই এখনো ঢের বাকি এছাড়াও বকেয়া সেমিষ্টার ফি জমা দেওয়ার শেষ তারিখ হতে দু সপ্তাহের মাথায় পরীক্ষার তারিখ নির্ধারিত হওয়ায়, ঢাকায় পরীক্ষা দিতে এসে থাকার জন্য ৭-৮ হাজার টাকা তাদের পরিবারের পক্ষে মেটানো প্রায় অসম্ভব বলে জানিয়েছে সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ব শরীরে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে পরীক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।

আনন্দবাজার/শাহী/আশিক

সংবাদটি শেয়ার করুন