দৈনিক আনন্দবাজার ডেস্ক: বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের মাস্টার্স পরীক্ষার ফল বিপর্যয়, পরিবর্তন এবং পরিমার্জনের অভিযোগ উঠেছে বিভাগের সভাপতি বিরুদ্ধে। অভিযোগ তোলেন বিভাগের ফলপ্রার্থী একাংশ। অভিযোগকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে লিখিত অভিযোগ। অভিযোগের পাশাপাশি ফল পুনঃমূল্যায়নের দাবি তোলেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টর অনেকেই দাবি করছে এটা নতুন কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ।
বিভাগের ২০১৯ সালের পরীক্ষার ফল বিপর্যয়ে বিভাগের সভাপতির বিরুদ্ধে আভিযোগের নেপথ্যে বিশ্ববিদালয়ের একজন সিনিয়র শিক্ষকের মদদ রয়েছে বলে ধারণা করছে অনেকেই। মদদদানকারী ওই শিক্ষক বিভাগের সভাপতি হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর আব্দুস সোবহান তাকে দায়িত্ব না দিয়ে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক ড. সৈয়দ আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী আন্তর্জাতিক বিভাগের সভাপতি দায়িত্ব দেন। এরপর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র গভীর হতে থাকে। প্রতিনিয়ত নানাভাবে বর্তমান সভাপতিকে লাঞ্ছিত করবার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীদের অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হয়নি। শেষ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে ফল পরিবর্তনের অভিযোগ করানো হয়েছে।
সভাপতির বিরুদ্ধে ফল বিপর্যয়ের যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সত্য নয় ধারণা করছে অনেকেই। বিভাগের সভাপতির পক্ষে ফল পরিবর্তন, সংযোজন, বিয়োজন কিংবা কোন রকম পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। সকল শিক্ষক বিভিন্ন কোর্সের উত্তরপত্র মূল্যায়ন করেন। একটি উত্তরপত্র দুজন শিক্ষক মূল্যায়ন করে। ফলে বিভাগের সভাপতির ফলাফলের উপর কোন নিয়ন্ত্রণ থাকে না।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সভাপতির বলেন, মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ উত্থাপন করায় বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বস্তরের শুভাকাক্ষিরা খুবই ক্ষুব্ধ হয়েছে। ষড়যন্ত্রকারীদের অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হবে না। এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।