রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালায় গত সোমবার থেকে শুরু হয় ‘২২তম নবীন শিল্পী চারুকলা প্রদর্শনী ২০২০’। মাসব্যাপী জাতীয় চিত্রশালার গ্যালারি ১, ৩, ৫, ৬ ও ভাস্কর্য গ্যালারিতে এ প্রদর্শনী চলবে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
প্রদর্শনীতে ২১ থেকে ৩৫ বছরের ৫১৯ জন শিল্পীর ১৩৫০টি শিল্পকর্ম জমা পড়ে। চিত্রকলা, ছাপচিত্র, ভাস্কর্য, প্রাচ্যকলা, কারুশিল্প, মৃৎশিল্প, গ্রাফিক ডিজাইন, আলোকচিত্র, স্থাপনাশিল্প, পারফরম্যান্স আর্ট, নিউ মিডিয়া আর্টসহ চারুশিল্পের এ সকল মাধ্যম থেকে ৩৩৭ জন শিল্পীর ৩৬৮টি শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর জন্য নির্বাচিত করেন নির্বাচকমণ্ডলী।
এর মধ্যে পারফরম্যান্স আর্ট বিভাগে সেরা কাজের পুরস্কার পেয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী এবং মুক্তমঞ্চের সভাপতি নাঈম রাজ-এর নির্দেশনায় ‘জীবন দ্বন্দ্ব’ শীর্ষক পারফরর্মেন্স আর্ট। নির্দেশক জানান, ‘দ্বন্দ্ব সার্বজনীন। স্রষ্টার সাথে সৃষ্টির দ্বন্দ্ব, প্রকৃতির সাথে প্রকৃতির দ্বন্দ্ব, সত্তার সাথে সত্তার দ্বন্দ্ব, দ্বন্দ্ব সত্য, দ্বন্দ্ব চিরন্তন। এমন একটি ভাবনাকে উপজীব্য করেই এই পরিবেশনা শিল্পটি নির্মাণ করা হয়েছে।
এতে অংশ নিয়েছেন কপোতাক্ষ নূপুরমা সিঞ্চি, যোহরা ইসলাম যুঁথী, উম্মে হানি, কাদেরুজ্জামান কমল, খমক মন্ত্র, ইয়াছিন শরীফ, আব্দুল্লাহ আল মারুফ, সৌমিক বসু, সৌরভ বিশ্বাস ও নাঈম হোসেন। সেট পরিকল্পনা করেছেন কাদেরুজ্জামান কমল ও আশফিকুর রহমান। পোশাক পরিকল্পনা করেছেন কপোতাক্ষ নূপুরমা সিঞ্চি এবং লাইট পরিকল্পনা করেছেন মাহুবুবুর রহমান। নেপথ্যে ছিলেন মোশাহেদ মিলন, সাইফ আহম্মেদ, সাব্বির হোসেন।
পুরস্কার পাওয়ার অনুভূতি জানিয়ে নির্দেশক নাঈম হোসেন “ক্ষ্যাপা”কে বলেন, “ভালো লাগছে। দায়িত্ববোধ আরো বেড়ে গেল। এখন আরো সততা দিয়ে কাজ করতে চাই। শিল্পের পথে তো মাত্র শুরু, শিল্প আঙ্গিনায় বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিতে চাই। আমার টিমের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা। সবাই মিলে একটা ভালো কিছু করতে চেয়েছি। সামনেও আমরা একসঙ্গে আরো অনেক পথ চলবো। এমন প্রত্যয় মনের মধ্যে লালন করি।”
পারফর্মেন্স আর্টের উপর এটাই বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় অ্যাওয়ার্ড যা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমি অর্জন করেছি।
আনন্দবাজার/শাহী/সাঈদ