ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বাংলাদেশি যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে গেছে

২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন। আগের বছরের তুলনায় এই হার ৭.১% বেশি। আর ২০০৯ সালের তুলনায় তিন গুণ বেশি।

এ বছর মোট ৮ হাজার ৮৩৮ জন শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন। ২০১৯ সালে এই সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ২৪৯ জন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশে থাকা মার্কিন দূতাবাস।

২০২০ ওপেন ডোরস রিপোর্ট অন ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনাল এক্সচেঞ্জ নামে মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক ব্যুরো এবং অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন-আইআইএ’র যৌথভাবে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে আসে।

এতে বলা হয়, উচ্চ শিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থী পাঠানোর ক্ষেত্রে বিশ্বের শীর্ষ ২০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭তম। তবে শিক্ষার্থী পাঠানোর বৃদ্ধির হারের দিক থেকে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সবার থেকে এগিয়ে আছে।

বাংলাদেশ থেকে যেসব শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে গেছে তাদের মধ্যে স্নাতক পর্যায়ে ৫ হাজার ৭৮৭জন শিক্ষার্থী আছে। যা ২০১৮/১৯ শিক্ষাবর্ষের তুলনায় ৯.৬% বেশি।

আর এর ফলে স্নাতক পর্যায়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ ৯ম থেকে ৮ম অবস্থানে আছে। ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার ক্যাম্পাসে বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে আনুপাতিক হারে বাংলাদেশিদের সংখ্যা বাড়ছে।

যুক্তরাষ্ট্রে যেসব বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আছেন তাদের মধ্যে ৭৫% শিক্ষার্থী বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিত বিষয়ে পড়াশুনা করছে।ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা বিষয় পড়াশুনা করছে ৭ ভাগের বেশি শিক্ষার্থী। আর ৬ ভাগ শিক্ষার্থী সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগে পড়ছেন।

প্রায় ১৩০০ শিক্ষার্থী পড়াশুনার অংশ হিসেবে কর্ম-প্রশিক্ষণ বা অপশনাল প্র্যাকটিক্যাল ট্রেনিং-য়ে অংশ নিয়েছেন। যা মোট মোট বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর ১৪ভাগ।

এই প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র বিদেশী শিক্ষার্থীদের প্রথম পছন্দের গন্তব্য। ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে দেশটিতে ১০ লাখের বেশি বিদেশী শিক্ষার্থী পড়াশুনা করতে গেছে। এই শিক্ষাবর্ষে আগের তুলনায় বিদেশী শিক্ষার্থীদের হার ১.৮% কমলেও দেশটির মোট শিক্ষার্থীর ৫.৫% বিদেশী শিক্ষার্থী।

সূত্র : বিবিসি বংলা।

আনন্দবাজার/এম.কে

সংবাদটি শেয়ার করুন