ঢাকা | সোমবার
২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার জোরালো দাবি

করোনার প্রভাবে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ফলে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি), জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি), স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষাগুলোর মত গুরুত্বপূর্ণ সব পরীক্ষা বতিল করতে হচ্ছে। এমনকি এসএসসি ও এইচএসসির শিক্ষার্থীরা শেষ করতে পারছেনা তাদের সিলেবাস। ফলে বোর্ড পরীক্ষা নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা।

এ অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার জোরালো দাবি বেশির ভাগ সরকারি-বেসরকারি শিক্ষক। তাই আগামী ১৪ নভেম্বরের পর সীমিত আকারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার।

জানা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রায় ৫০ হাজার কিন্ডারগার্টেনের ১০ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী করোনা দুর্যোগে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ফেব্রুয়ারির পর থেকে বন্ধ রয়েছে সকল শিক্ষকদের বেতন। ইতোমধ্যে কয়েক হাজার স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে। সেই সাথে এ সকল স্কুলের শিক্ষার্থীরাও গত ৮ মাস ধরে পড়ালেখার বাইরে।

রাজধানীর গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু সাঈ জানান, আমরা অভিভাবকদের সাথে একমত পোষণ করেছি। তাদের অধিকাংশই ভাগই স্কুল খোলার পক্ষে। তবে আমার মত, একটি ক্লাসে ৬০ জন শিক্ষার্থী থাকলে তাদের তিন ভাগে ভাগ করে স্কুলে আনা যেতে পারে। প্রয়োজনে শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে দুই দিন স্কুলে আসবে। এর পাশাপাশি চলবে অনলাইনে ক্লাস। ফলে এতে করে শিক্ষার্থীদের মানসিক অস্থিরতাও দূর হবে।

গত ২৯ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, আগামী দুই সপ্তাহ পর আমরা চেষ্টা করে দেখব, সীমিত আকারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যায় কি না। তবে সব কিছুই নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর। আগামী বছর যারা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা দেবে, তাদের কথা বিবেচনায় রেখে খুবই সীমিত আকারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যায় কি না তা আমরা চিন্তা-ভাবনা করে দেখছি।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন