আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে ভাবছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তকের মৌলিক সক্ষমতা তৈরিতে শুরু করা হয়েছে ৩০ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরির কাজ। বিদ্যালয় খোলা গেলে ওই সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষ করে পরবর্তী ক্লাসে তোলা হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানিয়েছে, ৩৯ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস বাস্তবায়ন করার কথা থাকলেও নতুন করে আরও ১৪ দিন ছুটি বাড়ানোয় সেটি সম্ভব হচ্ছে না। এ লক্ষ্যে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা অ্যাকাডেমি (নেপ) নতুন করে ৩০ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরির কাজ শুরু করেছে। শিক্ষার্থীদের পাঠগ্রহণের সক্ষমতা তৈরিতে এ সিলেবাসটি তৈরি করা হচ্ছে। আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হলে সেটি কার্যকর করে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে তোলা হবে। আর যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব না হয়, তবে স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিজস্ব পদ্ধতিতে পঞ্চম শ্রেণিসহ সকল ক্লাসের সনদ বিতরণ করবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নেপের মহাপরিচালক মো. শাহ আলম মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) বলেন, নতুন করে আমরা ৩০ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরির কাজ শুরু করেছি। প্রাথমিকের প্রতিটি ক্লাসের সকল বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো যুক্ত করে শিক্ষার্থীদের পাঠগ্রহণের সক্ষমতা তৈরির লক্ষ্যে নতুন করে এ সিলেবাস তৈরি করা হচ্ছে। নতুন সিলেবাসটি আগামী সপ্তাহে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে পাঠানো হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব জানান, আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললে যে কদিন সময় পাওয়া যাবে সে কদিন পড়িয়ে পরবর্তী ক্লাসে নেয়া হবে। আমরা ৩০ দিনের ও ১৫ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যখনই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হবে শিক্ষার্থীদের সেটি পড়িয়ে পরবর্তী ক্লাসে তোলা হবে। আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা নেবো।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস