ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের (২০১২- ১৩) শিক্ষাবর্ষের মেধাবী ছাত্রী উলফাত আরা তিন্নির রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের শাস্তির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন মানববন্ধন করেছে।
শনিবার (৩রা অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে তিন্নির ওপর আমানুষিক নির্যাতন ও বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও তদন্ত পরবর্তী দ্রুত বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবার (১লা অক্টোবর) মধ্যরাতে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া এলাকার নিজ বাড়িতে উলফাত আরা তিন্নির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, ঝিনাইদহের শেলকূপা উপজেলার ত্রিবেনী ইউনিয়নের যুগিপাড়া গ্রামের সাবেক সেনা সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মৃত ইউসুফ আলীর ছোট কন্যা তিন্নি। তিন্নির খালাতো ভাই মুকুল জানান, তিন্নির বড়বোন মুন্নির শেখপাড়া গ্রামের পুনুরুদ্দীনের ছেলে জামিরুলের সঙ্গে বিয়ে হয়। বনিবনা না হওয়ায় মুন্নির সাথে জামিরুলের বিচ্ছেদ ঘটে। মুন্নিকে সে আবার ঘরে নিতে চায়। কিন্তু মুন্নি রাজি না হলে দীর্ঘদিন ধরেই লম্পট জামিরুল পরিবারটির উপর অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। বাড়িটিতে কোন পুরুষ সদস্য না থাকায় পরিবারটি জামিরুলের নির্যাতনে অসহায় হয়ে পড়ে।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে জামিরুল ও নাঈমসহ দশ পনেরো জন মিলে শেখপাড়ায় তিন্নিদের বাড়িতে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। দুই ঘন্টা পর আবারো জামিরুল ওই বাড়িতে যায়। তিন্নির মায়ের দরজা পিছন থেকে আটকিয়ে রেখে দোতলায় তিন্নির ঘরে ঢুকে নির্যাতন চালায়। পরে তিন্নিকে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। যেন সবাই বোঝতে পারে তিন্নি আত্মহত্যা করেছে।
তিন্নির বড় বোন আখি অভিযোগ করে, তিন্নিকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা তিন্নি হত্যার বিচার চাই।
আনন্দবাজার/শাহী/তিতলি