জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দর্শন বিভাগের নাজমুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও বিনা অপরাধে কারাভোগ করানোর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
২৯ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) দুপুর ১১ টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারের সামনে এ মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বড় বোন সীমা আক্তারের সাথে দোহার উপজেলার শ্রীকৃষ্ণপুরের জসীম উদ্দীনের সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের এক পর্যায়ে স্বামী জসীম যৌতুকের জন্য সীমাকে নিয়মিত নির্যাতন করলে সেখান থেকে বাবার বাড়ি চলে আসে এবং মেয়ে বাদি হয়ে তার স্বামীর বিরুদ্ধে পারিবারিক আদালত আইন এবং নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে দুটি মামলা দেয়। এর এক পর্যায়ে গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে দুইপক্ষের মধ্যে বিচ্ছেদের সীদ্ধান্ত হয় এবং খোরাকি ও দেনমোহর বাবদ ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা স্ত্রীকে দেওয়ার রায় দেওয়া হয়। তখন স্বামী শালিসের সময় রায় মেনে নিলেও পরে সে রায় না মেনে তার স্ত্রী সীমা আক্তারকে ১ নং আসামী, তার বাবা সিরাজুল ইসলামকে ২ নং আসামী ও তার ছোট ভাই জবি শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলামকে ৩ নং আসামী করে উল্টো চুরি মামলা দেয়।
এ মামলায় ২৫ আগষ্ট জবি শিক্ষার্থী নাজমুল ও তার বাবা সিরাজুল ইসলামকে বিনা নোটিশেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ এবং ১২ দিন কারাভোগ করে। পরবর্তীতে ৬ সেপ্টেম্বর হাজিরা দেওয়ার শর্তে জামিন নেয় তারা।
এ ব্যাপারে জবি শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলাম বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাধারণ শিক্ষার্থী। এ ঘটনার সাথে আমি বা আমার পরিবারের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। আমাদের অস্বচ্ছল পরিবার ও আমার ভবিষ্যৎ চাকরি জীবনে সমস্যা করতেই এ মামলা দেওয়া হয়। আমরা এ মামলা থেকে দ্রুত অব্যহতি চাই।
মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সিআইডির এস আই আব্দুর রাজ্জাক জানায়, মামলার তদন্ত এখনো চলমান রয়েছে। এখন কোন তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়নি।
বিনা নোটিশে গ্রেপ্তার করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলা দিলে চাইলেই সাথে সাথে গ্রেপ্তার করা যায়, নোটিশের দরকার হয়না।
এ ব্যাপারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টর মোস্তফা কামাল জানান, শিক্ষার্থীর সাথে আমার কথা হয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে তাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো।
আনন্দবাজার/শাহী/সাইদ