ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষার্থী ও আর্থিকসঙ্কটের গ্যাড়াকলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়

করোনা পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। দিতে পারছে না ভবন ভাড়া, বেতন-ভাতা জামানতের টাকা তুলতে ইউজিসিতে চিঠি সরকারের কাছ থেকে ঋণ পেলে জামানত তোলার প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়েছে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এসোসিয়েশন।

একদিকে প্রাণঘাতি এই ভাইরাসের কারণে পিছিয়ে গেছে চলতি বছরের এইচএসসি, আলিম ও সমমানের পরীক্ষা। ফলে শিক্ষার্থী সঙ্কট দেখা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। অন্যদিকে সার্বিক পরিস্থিতির কারণে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেও টিউশন ফি নিয়মিত পাচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।

শিক্ষার্থী সঙ্কট ও আয় কমলেও থেমে নেই ভবন ভাড়া, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা। ফলে যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাস রয়েছে এবং প্রথম সারিতে রয়েছে তারা কিছুটা স্বস্তিত্বে থাকলেও বিপদে পড়েছে তুলনামূলক নতুন ও ভাড়া ভবনে পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।

ব্যয়ভার বহন করতে না পারায় ইতোমধ্যে কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কমানো হয়েছে লোকবল। ব্যয় নির্বাহ করতে অনুমোদনের সময় জমা দেয়া জামানাতের অর্থ চেয়েও আবেদন করেছে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়।

বর্তমানে দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১০৭টি। এর মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম চালু আছে ৯৬টির। করোনার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় রয়েছে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। কারণ শিক্ষার্থী থাকুক আর না-ই থাকুক, তাদের মাস শেষে বড় অঙ্কের ভবন ভাড়া পরিশোধ করতে হয়। শিক্ষার্থীরা টিউশন ফি না দেয়ায় নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নানা ধরনের সংকটে পড়েছে।

 

আনন্দবাজার/ইউএসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন