গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) অস্থায়ী কর্মচারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ২দফা দাবী নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।
অবস্থানকারী অস্থায়ী কর্মচারীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত ১৩মাস যাবৎ কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। কর্মচারীদের চাকুরী স্থায়ী এবং বকেয়া বেতন পরিশোধ করার লক্ষ্যে ২০১৯ সালের নভেম্বর মাস থেকে সাময়িকভাবে তারা আন্দোলন করলেও ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের প্রথম দিক থেকে জোড়ালো ভাবে তাদের দাবী আদায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছে।
কিন্ত করোনার মহামারীতে সকল শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কর্মচারীরা তাদের আন্দোলন বহাল রাখতে পারেনি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে নবনিযুক্ত ভাইস চ্যান্সেলর এর নিয়োগ হওয়ায় কর্মচারীরা নতুন করে ২দফা দাবী নিয়ে আজ ৭সেপ্টেম্বর (সোমবার) অবস্থান কর্মসূচি পুনরায় চালু করেছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে নবনিযুক্ত উপাচার্য, অধ্যাপক ড.এ.কিউ.এম মাহবুব এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, “বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের অস্থায়ী চাকুরি হবে সেটা মেনে নেয়া যায় না। কর্মচারীদের চাকুরি অস্থায়ী হওয়ার ব্যাপারে আমার জানা ছিল না। তবে এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এবং ডীনবৃন্দদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে ২-৩ বছরের অভিজ্ঞ এবং দক্ষ কর্মচারীদের নিয়োগ করা হবে।”
তিনি আরো জানান, “কর্মচারীদের বেতন ইউজিসি থেকে প্রেরন করা হয়, সেক্ষেত্রে ইউজিসি যদি বেতন প্রেরন করে তাহলে কর্মচারীদের বেতন অবশ্যই পরিশোধ করা হবে। তবে তার আগে রেজিস্ট্রার এবং ডীনবৃন্দদের সাথে আলোচনা অবশ্যই করতে হবে।” এ সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, “কর্মচারীদের বেতনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ’র সাথে আলোচনার মাধ্যমে সবকিছু সমাধানের চেষ্টা করবো।”
আনন্দবাজার/শাহী/আকীক